বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুরু থেকেই দারুণ ধারাবাহিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আগেই নিজেদের শেষ চার নিশ্চিত করেছে। গ্রুপ পর্বে নিয়মিত জয় তুলে নিয়ে টেবিলে শীর্ষ দুইয়ে ছিল অধিকাংশ সময়। গ্রুপ পর্বের শেষ দিন নিজেদের শেষ ম্যাচেও ছিল পয়েন্ট টেবিলের সেরা দল। কিন্তু রাজশাহীর কাছে শেষ ম্যাচে ৮ উইকেটে হেরে এলিমিনেটরে নেমে গেছে চট্টগ্রাম।
রাজশাহী জয় তুলে নিয়ে সেরা দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করেছে। অর্জন করেছে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ। গ্রুপ পর্বের নিজেদের শেষ এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৫৫ রান তোলে চট্টগ্রাস। দলের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা এ ম্যাচে সেট হয়েও বড় রান করতে পারেননি। ক্রিস গেইল ২১ বলে দুই ছক্কায় ২৩ রান করেন। অন্য ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী করেন ২৩ রান। দলের সেরা পারফরমার ইমরুল কায়েস ১৮ বলে ১৯ রান করে আউট হন।
মাহমুদুল্লাহ-নুরুল হাসান তাই ভালো ইনিংস খেলেও দলের রান শেষ পর্যন্ত বেশি বড় করতে পারেননি। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩৩ বলে ৪৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তিনটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন তিনি। অন্যদিকে নুরুল হাসান ১৭ বলে করেন ৩০ রান।
জবাবে লিটন দাসের ৭৫ রানের সুবাদে সহজে জয় পায় রাজশাহী। তিনি ৪৮ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায় দারুণ এই ইনিংস খেলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান। এছাড়া অন্য ওপেনার আফিফ হোসেন ৩১ বলে ৩২ রান করেন। পরে আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে ২৫ বলে ৪৩ রান করে দলকে জিতিয়ে ফেরেন শোয়েব মালিক।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে আট জয়ে সেরা দুইয়ে থেকে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হয়েছে রাজশাহীর। চট্টগ্রামও সমান ম্যাচে আট জয় পেয়েছে। কিন্তু নেট রান রেটে পিছিয়ে তারা। রাজশাহীর নেট রান রেট ০.৪২০। আর চট্টগ্রামের ০.১২৯। অন্যদিকে গ্রুপের সর্বশেষ ম্যাচে সেরা চার নিশ্চিত হওয়া ঢাকা প্লাটুন এবং খুলনা টাইগার্স মুখোমুখি হবে।
দু’দলই সাতটি করে জয় পেয়েছে। তাদের মধ্যে জয়ী দল আট জয় এবং নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে উঠবে এটাও নিশ্চিত। কারণ দু’দলেরই নেট রান রেট রাজশাহী ও চট্টগ্রামের থেকে বেশি। ঢাকার নেট রান রেট ০.৭০১। খুলনার নেট রান রেট ০.৮৯৯। ঢাকা-খুলনার ম্যাচের পরাজিত দল সাত জয় নিয়ে থাকবে পয়েন্ট টেবিলে চারে থাকবে। রাজশাহী তাই ঢাকাকে পাবে না-কি খুলনাকে সেই অপেক্ষায় আছে।