সৌদির সঙ্গে রাজনৈতিক-সামরিক সর্ম্পক জোরদার হয়েছে: মসীহ

1595921638.jpeg

সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ২৩ লাখ বাংলাদশি অভিবাসীকে উন্নত ও আধুনকি উপায়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে রিয়াদে বাংলাদশ দূতাবাস এবং জেদ্দার বাংলাদশে কনস্যুলেট। বিগত পাঁচ বছরে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সর্ম্পক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময়ে সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাঁচবার সৌদি আরব সফর করেছেন। যা দু’দেশের সর্ম্পককে বেগবান করেছে।
‘সৌদি আরবে বাংলাদেশের বিপুল শ্রম বাজারের পাশাপাশি বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে সৌদি আরবের বাণজ্যিমন্ত্রী ও র্অথমন্ত্রীর সফররে মাধ্যমে তৈরি হয়েছে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ সম্ভাবনা। বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামরিক সর্ম্পকও জোরদার হয়েছে। ’

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহর বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দূতাবাস।

রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ সৌদি আরবে পাঁচ বছর পাঁচ মাস দায়িত্ব পালন শেষে আগামী মাসে দেশে ফিরবেন। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ড. জাবেদ পাটোয়ারী।

রাষ্ট্রদূত বিদায়ী অনুষ্ঠানে বলেন, প্রবাসীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সৌদি আরবের বড় শহরগুলোতে প্রবাসী সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। দাম্মাম, রিয়াদ, জেদ্দা, মদিনাসহ অন্য শহরে প্রবাসী সেবা কেন্দ্রগুলো রাত-দিন প্রবাসীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রবাসীদের আর দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আসার প্রয়োজন হচ্ছে না। এতে তাদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।

তিনি দূতাবাসের সবাইকে ভালো আচরণের মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত প্রবাসীদের সব সেবার জন্য নির্দেশ দেন।

রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, দীর্ঘ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশি হাজিদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য হাজিদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আশা করছি আগামীতে সব হাজিদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এছাড়া প্রবাসীদের বিমা সুবিধার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

গোলাম মসীহ উল্লেখ করেন, করোনা মহামারির সময় প্রায় ৪০ হাজার প্রবাসীর কাছে সরকারের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। প্রবাসীদের জন্য ডক্টরস পুল গঠন করে দেওয়া হয়েছে চিকিৎসা পরামর্শ। আটকে পড়া প্রবাসীদের দেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট চালু করা হয়েছে।

দূতাবাসের উপ মিশন প্রধান আনিসুল হক রাষ্ট্রদূতকে জনতার রাষ্ট্রদূত আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি প্রবাসীদের জন্য যে সব উদ্যোগ নিয়ে গেছেন তা সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিরা চিরদিন মনে রাখবে।

অনুষ্ঠান দেশের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এসময় রাষ্ট্রদূতের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

Pin It