রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি আরামকোর দাম প্রাথমিকভাবে ১ দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন (এক লাখ ৭০ হাজার কোটি) ডলারে নির্ধারণ করেছে সৌদি আরব।
মাত্র দেড় শতাংশ শেয়ার বাজারে ছেড়ে আড়াই হাজার কোটি ডলারের বেশি মূলধন সংগ্রহ করার লক্ষ্য নিয়ে রোববার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) হালনাগাদ প্রসপেক্টাস প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।
এর ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুনাফাধারী এ কোম্পানির কাছ থেকেই ‘সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইপিও’ আসছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান কোম্পানিটির দাম ২ ট্রিলিয়ন হওয়ার আশা করছিলেন বলে যে খবর বের হয়েছিল তা দৃশ্যত পূরণ হলো না।
জ্বালানি খাতের বিশাল এ কোম্পানির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোম্পানির মোট শেয়ারের দেড় শতাংশ বাজারে ছাড়া হবে। প্রতি শেয়ারের দাম হবে ৩০ থেকে ৩২ সৌদি রিয়াল (আট থেকে সাড়ে আট ডলার)।
শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ধরে আইপিওর মোট দাম সর্বোচ্চ ৯৬ বিলিয়ন রিয়াল বা দুই হাজার ৫৬০ কোটি ডলার হয়।
আর এটা সর্বোচ্চ দর হলে তা হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইপিও। এর আগে শীর্ষ ই-কমার্স কোম্পানি চীনের আলিবাবা ২০১৪ সালে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাকাভুক্ত হয়ে আড়াই হাজার কোটি ডলার মূলধন সংগ্রহ করেছিল।
বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে খুচরা বিনিয়োগকারীরাও আরামকোর শেয়ার কেনার সুযোগ পাবে।
আরামকো প্রাথমিকভাবে ৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে চেয়েছিল। এর মধ্যে ২ শতাংশ আরবি ভাষায় তাদাউল নামে পরিচিত সৌদি স্টক এক্সচেঞ্জে এবং পরে বাতি তি শতাংশ বিদেশের স্টক এক্সচেঞ্জে।
বহুল আলোচিত লক্ষ্যটি দৃশত চাপা দিয়ে কোম্পানিটি এখন বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে শেয়ার বিক্রির কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় বসার পর থেকেই সৌদি আরব তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে, তারই অংশ হিসেবে এবার বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক এ কোম্পানিকে শেয়ার বাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
‘ভিশন ২০৩০’ এর আওতায় সৌদি আরবে পর্যটন শিল্পের বিকাশেও রিয়াদ একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। সম্প্রতি তারা ৪৯টি দেশের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ ভিসা চালু করেছে, নারী ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে পোশাকের বিধিনিষেধও শিথিল করেছে।