টেস্টের অন্যতম সেরা এক ইনিংস খেললেন বেন স্টোকস। ইংল্যান্ড ম্যাচটা যতটা জিতেছে, অস্ট্রেলিয়া ঠিক ততটাই হেরেছে। টেস্টের চেয়ে ভালো ক্রিকেট হয়না! টেস্ট ক্রিকেট দীর্ঘজীবি হোক।’ অ্যাসেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড ১ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলের তাই এই টুইট।
ম্যাচটা ইংল্যান্ডের হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপ ফাইনালে বেন স্টোকস যেমন একপ্রান্তে ধরে ছিলেন। এ ম্যাচেও তেমনি ধরে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১৩৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে ফেরেন তিন। তার ওই ইনিংস টেস্টের সেরা ইনিংসের একটি বলে মনে করছেন অনেকে।
দারুণ এই জয়ে ইংল্যান্ড ৩৫৯ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে। জিইয়ে রেখেছে অ্যাসেজ সিরিজের উত্তেজনা, অ্যাসেজ জয়ের উত্তেজনা। এর আগে ইংল্যান্ড টেস্টে এতো বেশি রান তাড়া করে জেতেনি। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৩২ রান তাড়া করে জেতাই ছিল তাদের রেকর্ড। এছাড়া শেষ উইকেটে জ্যাক লিচকে নিয়ে বেন স্টোকস গড়েছেন ৭৬ রানের জুটি। রান তাড়া করে জয়ী ম্যাচে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কুশল পেরেরা দশম উইকেটে বিশ্ব ফার্নান্দোকে নিয়ে ৭৮ রান করেন। আর টেস্টে ইংল্যান্ডের এটি চতুর্থবারের মতো এক উইকেটে জয়ের রেকর্ড।
শেষ ব্যাটসম্যান জ্যাক লিচ যখন উইকেটে যান, ইংল্যান্ডের জিততে তখনও প্রয়োজন ৭৩ রান। প্রায় অসম্ভবকেই সম্ভব করেছে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। তাদের জুটিতে লিচের অবদান কেবল ১ রান। শেষ জুটিতে স্টোকসের রান ৪৪ বলে ৭৪! অথচ দিনের শুরুতে এক পর্যায়ে স্টোকসের রান ছিল ৮১ বলে ৯। দলকে দুর্দান্ত জয় এনে দেওয়া স্টোকস দারুণ ইনিংস খেলার পথে ১১ চারের পাশাপাশি ছক্কা তোলেন ৮টি!
অবিশ্বাস্য ব্যাপার শুধু শেষ ইনিংসেই নয় ঘটেছে প্রথম ইনিংসেও। ইংল্যান্ড মাত্র ৬৭ রানে গুটিয়ে যায়। গত ১৩২ বছরে এক ইনিংসে এত কম রান করে টেস্ট জিততে পারেনি কোনো দল। তবে হারে অস্ট্রেলিয়ারও দায় আছে। স্টোকসের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে তারা। বল করতে পারেনি পরিকল্পনা নিয়ে। দারুণ এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শেষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১৭৯
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৬৭
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ২৪৬
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩৬২/৯ (লক্ষ্য ৩৫৯), জো রুট ৭৭, স্টোকস ১৩৫*, বেয়ারস্টো ৩৬।