স্ট্রোকে মৃত্যুর দুই-তৃতীয়াংশই বাংলাদেশে

image-640502-1675184379

বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এরমধ্যে মারা যান অর্ধ কোটি মানুষ এবং অর্ধ কোটি পঙ্গুত্ব বরণ করেন। বিশ্বব্যাপী রোগটি মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ। মারা যাওয়াদের দুই-তৃতীয়াংশই ঘটে বাংলাদেশে। তবে দেশেই স্ট্রোকের বিশ্বমানের চিকিৎসা হচ্ছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব স্ট্রোক ও নিউরো-ইন্টারভেনশন’ (বিএসএসএনআই) আয়োজিত কনফারেন্সে বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান।

তারা বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে দেশে প্রতি হাজারে প্রায় ১২ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। বিশ্বে ২০৫০ সালের মধ্যে স্ট্রোক আক্রান্তের হার প্রায় ৮০ গুণ বেড়ে যাবে। ফলে ঘাতক ব্যাধি থেকে রক্ষায় সচেতনতার বিকল্প নেই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, স্ট্রোকের চিকিৎসা যত দ্রুত করা যাবে, ফলাফল ততই ভালো হয়। দেরি করলে উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। দেশে স্ট্রোকের বিশ্বমানের চিকিৎসা হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সোসাইটি অব স্ট্রোক ও নিউরোইন্টারভেনশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক কাজী মহিবুর রহমান বলেন, দেশে স্ট্রোক রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সরকারিভাবে কম খরচে স্ট্রোকের সব আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আধুনিক সব চিকিৎসা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব স্ট্রোক ও নিউরোইন্টারভেনশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক শরীফ উদ্দিন খান বলেন, সরকারিভাবে একমাত্র নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা হচ্ছে। ফলে ঢাকার বাইরের মেডিকেল কলেজগুলোকে এগিয়ে আসাতে হবে।

সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফিরোজ আহম্মেদ কোরাইশি স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা আইভি থ্রোম্বলাইসিস জেলা পর্যায়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

নিউরোসায়েন্সস হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম বলেন, স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা কয়েল অ্যাম্বোলাইজেশন, গ্লু অ্যাম্বোলাইজেশন সহজলভ্য করতে ২০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব স্ট্রোক ও নিউরোইন্টারভেনশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সুভাষ কান্তি দে বলেন, যদি মুখ বেঁকে যায়, হাত অবশ হয়ে যায়, কথা জড়িয়ে যায় তাহলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা সম্ভব। এতে রোগীর মৃত্যু ঝুঁকি থেকে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

Pin It