বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য পূর্ণকালীন ব্যাটিং ও স্পিন কোচ খুঁজছে বিসিবি। জিম্বাবুয়ে সফরের আগেই দুই বিভাগে কোচ নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা চলছে। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সাবেক হেড কোচ জেমি সিডন্সকে নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও তার বিষয়ে বোর্ডে দুই রকম মত রয়েছে। তবে স্পিন কোচ হিসেবে শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিনার রঙ্গনা হেরাথই এগিয়ে। তার মতো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও সফল স্পিনারকে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে পেতে চায় বিসিবি।
কলম্বো থেকে হেরাথ জানিয়েছেন, বিসিবির সঙ্গে তার আলোচনা চলছে। লঙ্কান কিংবদন্তি স্পিনার বলেছেন, ‘এখন আমার সাথে বিসিবির সঙ্গে আলোচনা চলছে। কিছুই এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হলেই আপনাকে জানাবো।’
সর্বশেষ কয়েক সিরিজে ইংল্যান্ডের জন লুইস ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। তবে তাকে আর রাখা হচ্ছে না। কারণ ক্রিকেটাররাও তার পক্ষে মত দেননি। ড্যানিয়েল ভেট্টোরির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন হয়নি। দেশীয় সোহেল ইসলাম খন্ডকালীন কাজ করেছেন। বিসিবি চাইছে পূর্ণাঙ্গভাবে হেরাথকে নিয়োগ দিতে। অবসর নেয়ার পর হেরাথও দীর্ঘ মেয়াদে চাকরি করছেন না। জানিয়েছেন, সবকিছু মিলে গেলে বাংলাদেশে কাজ করবেন। বিসিবিতে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে তার।
হেরাথ বলেন, উপমহাদেশেই চাকরি বলে পরিবার থেকে খুব বেশি দূরে থাকতে হবে না। কন্ডিশনও একই রকম। বাংলাদেশেও অনেক ম্যাচ খেলেছেন। সেক্ষেত্রে নিজের অভিজ্ঞতা, স্কিল কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের স্পিনারদেরও সাহায্য করতে পারবেন।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, কোচ নিয়োগের বিষয়টি আলোচনা চলছে, কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। কোনো কিছু এখনো নিশ্চিত হয় নি। আমরা চেষ্টা করছি কথা বলতে এবং হয়তোবা কয়েকদিনে মধ্যে তারা পৌছাবে।’
জিম্বাবুয়ে সফরের আগেই কোচ নিয়োগের কাজ শেষ করতে চায় বিসিবি। আকরাম খান বলেছেন, ‘আমরা ইনশাআল্লাহ জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে নেওয়ার চেষ্টা করবো যেহেতু জিম্বাবুযের পরপরই অস্ট্রেলিয়া আসবে এরপর ইংল্যান্ড আসবে নিউজিল্যান্ড আসবে তাই আমরা এখনই চেষ্টা করবো।’
তবে এখনই কারো নাম বলতে রাজি নন আকরাম। তিনি বলেন, ‘সমস্যা হয় কি আমরা আগে বলে দিলে যারা আগ্রহ দেখায় তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে তাই আমাদের বলতে নিষেধ করা হয়েছে।’