করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতি না কমলেও স্বাস্থ্যবিধি পালনে জনসাধারণের উদাসীনতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, “সংক্রমণের বর্তমান পর্যায়ে এসেও অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। হাট বাজার, টার্মিনাল, ফুটপাত, ফেরিঘাট, শপিংমলসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরিধান না করেই চলাফেরা করছেন। অনেকে অবেহলা করছেন এবং পাত্তা দিচ্ছেন না।
“এ অবহেলা ও শৈথিল্য ভয়ঙ্কর ঝুঁকিতে ফেলতে পারে আমাদের এবং এজন্য চরম মূল্য দিতে হতে পারে। আমি আবার সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে করোনাবিরোধী প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানাচ্ছি।”
রোববার সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে একথা বলেন কাদের।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কাদের বলেন, “শিক্ষার্থীদের বলতে চাই, চলমান পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতের পাশাপাশি জীবনও ঝুঁকিপূর্ণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখছেন। অনুকূল পরিস্থিতি হলে সরকার সিদ্ধান্ত জানাবে।”
দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা সভায় একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমি ফখরুল সাহেবকে বলতে চাই, যে সত্য প্রকাশ দিবালোকের মতো সত্য, তা কিভাবে ধামাচাপা দেবেন? উটপাখির মতো মুখ বালুতে লুকালে কি সত্য লুকিয়ে থাকবে।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা সত্য এবং স্পষ্ট। সত্য বললেই বিএনপির গাত্রদাহ। অন্ধকারের শত্রুরা সত্য সহ্য করতে পারেন না। সত্যের বন্যা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যায়, ধামাচাপা দেওয়া যায় না।”
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এফ এম মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বক্তব্য রাখেন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন অনুষদের ডিন, অধ্যাপক, ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সদস্য, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছিলেন।