স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বারিধারার বাসায় মশকনিধন কর্মীদের ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বুধবার গাবতলী বাসটার্মিনালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিদর্শনকালে মেয়র এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, নগরবাসীর সহযোগিতা না পেলে মশকনিধন করা কঠিন হয়ে যায়।
এর আগে মঙ্গলবার ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মশকনিধনের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকতে চাইলে বাসায় কেউ না থাকার কারণ দেখিয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের ঢুকতে দেননি।
এ প্রসঙ্গে মেয়র আতিকুল জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গত দু’দিনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন তিনি, কিন্তু পাননি।
তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসি তো আবাসিক বাড়িতে প্রথমবার গিয়েই জরিমানা করছে না। নির্মাণাধীন ভবন বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পেলে জরিমানা করছে।’
এর আগে গাবতলী বাস টার্মিনালের পেছনের অংশ এবং তুরাগ নদের তীর অপরিচ্ছন্ন দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘সামনের অংশ যেমন পরিষ্কার, পেছনের অংশ তেমনি অপরিষ্কার। টার্মিনালে অনেক অবৈধ দোকান রয়েছে, খাবারের দোকান রয়েছে। এসব দোকানের ময়লা-আবর্জনাই ওখানে ফেলা হয়। এসব অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হচ্ছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আশ্বাস দিয়েছেন টার্মিনালটা তারা পরিষ্কার রাখবেন।’
এ সময় উপস্থিত থাকা স্থানীয় এমপি আসলামুল হক আসলাম বলেন, এখানে যেসব দোকান আছে সেগুলো রাজনৈতিক মদদপুষ্ট না। কেউ প্রমাণ দিতে পারলে প্রয়োজনে তার দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবেন।
পরে মেয়র মিরপুর মডেল থানা পরিদর্শনে যান। থানার পরিবেশ দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ জন্য থানা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান মেয়র।
এর আগে মিরপুর-১ সংলগ্ন জনতা হাউজিংয়ে সিটি করপোরেশনের ‘চিরুনি অভিযান’ পরিদর্শন করেন মেয়র। এ সময় তিনি বলেন, নগরবাসী ডিএনসিসির চিরুনি অভিযানকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাগত জানিয়েছে। নগরবাসী আগের চেয়ে অনেক সচেতন।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন টিটু, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মঞ্জুর হোসেন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহা বিনতে সিরাজ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।