দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এসব কর্মচারীকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খানের সাক্ষাতের পর এ সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে এই ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলির জন্য সুপারিশ করে দুদক থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন কার্যালয়ে কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি করছেন। দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য এসব কর্মীদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে জরুরি ভিত্তিতে অন্যত্র বদলির ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে দুদক।

এই ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেন— স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের সহকারী প্রধান (পরিসংখ্যানবিদ) মীর রায়হান আলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারুক হাসান, প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলাম, প্রধান সহকারী সাজেদুল করিম, উচ্চমান সহকারী তৈয়বুর রহমান, উচ্চমান সহকারী সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্র্রাম স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী ফয়জুর রহমান, প্রধান সহকারী মাহফুজুল হক, কম্পিউটার অপারেটর আজমল খান, ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান সহকারী-কাম হিসাবরক্ষক আব্দুল কুদ্দুস, সিলেটের স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী নুরুল হক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আমান আহমেদ, অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার অপারেটর নেছার আহমেদ চৌধুরী, খুলনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ হোসেন, অফিস সহকারী মো. মাসুম, প্রধান সহকারী আনোয়ার হোসেন, বরিশাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মো. রাহাত খান, উচ্চমান সহকারী জুয়েল, রংপুর স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী আজিজুর রহমান, স্টেনোগ্রাফার সাইফুল ইসলাম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান সচিবালয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে ২৫ দফার একটি সুপারিশ হস্তান্তর করেন। এ সুপারিশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১১টি দুর্নীতির খাতও উল্লেখ করা হয়।