উত্তরপ্রদেশের আমেথি লোকসভা কেন্দ্র একসময় ছিল কংগ্রেস গড়। ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে ওই আসন থেকে সেবার জয় পেয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। পাঁচ বছর পর এবার পালাবদল হলো কিশোরী লাল শর্মার হাত ধরে!
সেখানে হেরে গেলেন স্মৃতি ইরানি। হারের পরই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিজের কাজের ফিরে দেখা একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন তিনি।
মায়ের হার যেন মন ভেঙে দিয়েছে মেয়ে কৃষ্ণতুলসী ওরফে মৌনীর। স্মৃতির হারে কীভাবে তাকে সান্ত্বনা দিলেন অভিনেত্রী মৌনী?
অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ। তার পর ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। লম্বা এক সফর। চড়াই-উতরাই কম ছিল না স্মৃতি ইরানির জীবনে। ‘কিউ কি সাস ভি কভি বহু থি’ ধারাবাহিকের মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা। হিন্দি ধারাবাহিকে মাইলফলক হয়ে থেকে গেছে স্মৃতি ইরানি অভিনীত ‘তুলসী’ চরিত্রটি। টানা আট বছর চলে এই ধারাবাহিক।
এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে মৌনীর সঙ্গে আলাপ স্মৃতির। ধারাবাহিকে তার মেয়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল মৌনীকে। এই ধারাবাহিক শেষ হয় ২০০৮ সালে। তার পর সেভাবে আর টেলিভিশনে দেখা যায়নি স্মৃতিকে।
অন্যদিকে মৌনী টেলিভিশন থেকে কিছু দিনের বিরতি নিয়ে মন দেন বড় পর্দায়। ধীরে ধীরে বলিউডে নিজের পায়ের মাটি শক্ত করেছেন তিনি। তবু যেন ক্যারিয়ারের শুরু দিকের সম্পর্কগুলো এখনো অটুট।
৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণার পরই জানা যায়, প্রায় দেড় লাখের বেশি ভোটে হেরেছেন স্মৃতি। তার পরই তিনি লেখেন, “আমার মনে হয় যে, আজ জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন, যিনি জিতেছেন তাকে অভিনন্দন জানানোর দিন। যারা বিশ্লেষক তারা বিশ্লেষণ করবেন।
একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটা আমার সৌভাগ্য যে, আমি প্রতিটা গ্রামে গিয়ে কাজ করেছি। জয় পরাজয় যা-ই হোক না কেন, আমি মানুষের সঙ্গে যুক্ত হই এবং এটা আমার জীবনের অনেক বড় পাওনা।” এই পোস্টের নীচে মৌনী লেখেন, “আমি সব সময় তোমার পাশে আছি।”