হংকংয়ে হাজার হাজার মানুষ নিষেধাজ্ঞা ভেঙে চীনের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ১৯৮৯ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনাভিযানের ৩১ তম বর্ষপূর্তি পালন করেছে।
বৃহস্পতিবার হংকংয়ের বিভিন্ন জায়গায় মোমবাতি মিছিল হয়েছে। ভিক্টোরিয়া পার্কে হংকংয়ের স্বাধীনতাপন্থি এবং চীনবিরোধী স্লোগান দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
মং কক এলাকায় বিক্ষোভকারীরা ধাতব বেস্টনী দিয়ে রাস্তা আবরোধের চেষ্টা চালালে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি হয়।বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মরিচের গুঁড়ার স্প্রে ছুড়ে পুলিশ।
হংকংয়ে ১৯৯০ সাল থেকেই তিয়েনআনমেন অভিযানে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি মিছিল হয়ে আসছে। এ বছর করোনাভাইরাস সংকটের কথা বলে হংকং পুলিশ মোমবাতি মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
হংকংবাসীরা তা উপেক্ষা করায় এবারই প্রথমবারের মতো অস্থিরতার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। পুলিশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।
হংকংয়ে দিবসটি উপলক্ষ্যে সাধারণত বিশাল জনসমাগম হয়। এবার হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করে তা ঠেকানোর প্রস্তুতি নওয়া হয়েছিল আগেই।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এবারই হয়ত শেষবারের মতো দিবসটি পালন করতে পারছেন তারা। কিন্তু হংকংবাসী কখনো রক্তক্ষয়ী সেই ৪ জুন’কে ভুলে যাবে না।
১৯৮৯ সালের এ দিনটিতেই চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভে নামা শত শত ছাত্র-শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিল ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার।
হংকংয়ের ৭০ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারীর কথায়, “আমরা কেবল ৪ জুনে যারা মারা গিয়েছিল তাদেরকে স্মরণ করছি। আমরা ভুল কি করেছি? গত ৩০ বছর ধরে আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত করছি।”
আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, তিনি ৩০ বছর ধরেই দিবসটি পালন করে এলেও এবার এটি পালন করা তার কাছে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ সময়টিতে হংকংও চীনের কাছ থেকে একইরকম নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
হংকংয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, ৮ জনের বেশি লোকসমাগমের অনুমতি নেই। পুলিশের ভাষ্য, এ বিধি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষের সমাগম জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে এসবের কোনো তোয়াক্কা না করেই মানুষজন রাস্তায় নেমেছে, মোমবাতি জ্বালিয়েছে, পালন করেছে এক মিনিট নীরবতা।