হজের নিবন্ধনে এবার সময় ৩ দিন

haji-return-dhaka-17082019-0009

সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এ বছর যারা হজে যেতে চান, তাদের নিবন্ধন চলবে ১৬ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত।

ধর্ম মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ওই তিন দিনের মধ্যে হজ প্যাকেজ অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করে নিবন্ধিত হতে হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে হবে হজ। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।

তাদের মধ্যে চার হাজার জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

২০২০ সালে হজের জন্য টাকা জমা নিয়ে নিবন্ধনের কাজ সারা হলেও মহামারীর কারণে সে বছর এবং পরের বছর কারও হজে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। এবার তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

সরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ২০২০ সালের নিবন্ধিত সব হজযাত্রী এবং প্রাক-নিবন্ধনের ২৫ হাজার ৯২৪ ক্রমিক পর্যন্ত এ বছর হজের জন্য নিবন্ধনের আওতায় আসবে। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের ক্ষেত্রে এবার নিবন্ধনের আওতায় আসবেন ২০২০ সালের নিবন্ধিতরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের তিনটি প্যাকেজে নিবন্ধিত যারা এবার হজ করবেন, ১৬ থেকে ১৮ মের মধ্যে যে কোনো নিবন্ধন কেন্দ্র থেকে তাদের ২০২২ সালের যে কোনো একটি প্যাকেজে নতুন করে নিবন্ধন নিতে হবে।

২০২০ সালের চেয়ে এবারের প্যাকেজে খরচ বেড়েছে। ফলে তখন যারা নিবন্ধন করেছেন, এবার তাদের বাড়তি টাকা সোনালী ব্যাংক জমা দিয়ে নিবন্ধন সারতে হবে।

যেমন ২০২০ সালে যারা সবচেয়ে বেশি খরচের প্যাকেজ ১ এর আওতায় ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন, এবার তাদের সবচেয়ে কম খরচের প্যাকেজ ২ এ নিবন্ধন করতেও ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ হবে। অর্থাৎ তারা আর ৩৭ হাজার ১৫০ টাকা জমা দিয়ে এবার হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধিত হতে পারবেন।

নিবন্ধনের পর কেউ যদি হজে যেতে না পারেন, তাহলে শুধু বিমান ভাড়া এবং খাবার বাবদ নেওয়া টাকা ফেরত পাবেন। তবে বিমানের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পর হজযাত্রা বাতিল করলে সেই টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন না।

নিবন্ধনের জন্য আবশ্যিকভাবে পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট স্ক্যান করে পূরণ করতে হবে নিবন্ধন তথ্য। পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে হজের দিন থেকে পরবর্তী ছয় মাস, অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। হজযাত্রীর দাখিল করা পাসপোর্ট যাচাই করা হবে অনলাইনে।

নতুন প্যাকেজ অনুসারে নিবন্ধনের ২ দিনের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের নিজ নিজ পাসপোর্ট নিজ দায়িত্বে ঢাকার আশকোনায় হজ অফিসে জমা দিতে হবে।

আগে নিবন্ধিত কেউ ১৮ মের মধ্যে পছন্দের প্যাকেজ নির্ধারণ করে নতুন নিবন্ধন না করলে এ বছর তিনি হজে যেতে আগ্রহী নন বলে ধরে নিয়ে তার আগের নিবন্ধন বাতিল করা হবে।

স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা চলতি বছর হজের সুযোগ পাচ্ছেন না। যারা যাবেন, তাদের দুই ডোজ কোভিড টিকা নেওয়া থাকতে হবে। যাওয়ার সময় কোভিড নেগেটিভ সনদ রাখার পাশপাশি কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তও জানিয়ে দিয়েছে সৌদি সরকার।

২০২০ সালের নিবন্ধিত যাদের বয়স ৬৫ বছর হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যরা শূন্য কোটায় হজে যেতে অগ্রাধিকার পাবেন। পরিবারের সদস্যদের পরও কোনো কোটা খালি থাকলে সরকারি হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রাক-নিবন্ধনের ক্রম অনুসারে প্রথম দিকের ব্যক্তিদের নিবন্ধের সুযোগ দেওয়া হবে। এ জন্য তাদের মোবাইলে এসএমএস পাঠানো শুরু হয়েছে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এর আগে প্রাক-নিবন্ধিত (২৫ হাজার ৯২৪ ক্রম পর্যন্ত) ব্যক্তিদের ১৮ মের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করার জন্য যে কোনো নিবন্ধন সেন্টার (ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ডিসি অফিস বা ঢাকা হজ অফিস) থেকে একক বা ইউনিটভিত্তিক হিসেবে নিবন্ধন ভাউচার তৈরি করে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে পছন্দের প্যাকেজ নির্ধারণ করে নিবন্ধন না করলে এ বছর তিনি হচ্ছে যেতে ইচ্ছুক নন বলে ধরে নেওয়া হবে।

সরকারিভাবে হজে যেতে প্রথম প্যাকেজে খরচ হবে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা, আর দ্বিতীয় প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা ।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের জন্য ন্যূনতম খরচ হবে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা। কোরবানির জন্য প্রত্যেক হজযাত্রীকে ৪১০ সৌদি রিয়ালের সম পরিমাণ ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা আলাদাভাবে সঙ্গে নিতে হবে।

আর হজ বাবদ সৌদি সরকার অতিরিক্ত কোনো ফি ধরলে তা ‘প্যাকেজ মূল্য’ হিসেবে ধরা হবে এবং সেটি হজযাত্রীকেই পরিশোধ করতে হবে, সেক্ষেত্রে খরচ আরেকটু বাড়বে।

Pin It