খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার অনুমতি না মেলার মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের বিদেশ গমন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “আইন যদি সবার জন্য সমান হয়, তাহলে কোন আইনে সাজাপ্রাপ্ত হাজি সেলিম চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলেন? এখানে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এক আইন, আর হাজি সেলিমের জন্য অন্য আইন কোন সংবিধানে, কোন গ্রন্থে আছে? আহারে আইনের শাসন!”
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চাইলেও সরকারের অনুমতি পাননি। তিনি সরকারের নির্বাহী আদেশে দুই বছর আগে মুক্ত হলেও দেশেই রয়েছেন। আইনি কারণে তাকে বিদেশযাত্রার অনুমতি দেওয়া সম্ভবপর হচ্ছে না বলে আইনমন্ত্রীর ভাষ্য।
অন্যদিকে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমকে হাই কোর্ট আত্মসমর্পণের আদেশ দিলেও তার মধ্যেই তিনি চিকিৎসার জন্য গত শনিবার থাইল্যান্ড রওনা হন চিকিৎসার জন্য।
রিজভী বলেন, “হাজি সেলিম আত্মসমর্পণ না করেই দেশ ছেড়েছেন। নির্বিঘ্নে তার বিদেশ পাড়ি দেওয়ার ঘটনায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে আদালত অসহায়। নিশিরাতের মাফিয়া সরকার দেশের আইন-আদালত-বিচার-প্রশাসন সব কিছু দলীয়করণের ঘনকালো আলখেল্লায় ঢেকে দিয়েছে।”
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, “দেশে চলছে দুই আইন। আইন ও বিচারের চোখ কানা করে দিয়েছেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি এবং বিরোধী দল ও মতের মানুষের জন্য প্রতিহিংসামূলক ও গণভবনের ওহি দিয়ে চলছে বিচারিক সিদ্ধান্ত।”
ঈদের জামাতে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের গুলিবর্ষণে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মোস্তাক মিয়া ভুঁইয়ার আহত হওয়ার ঘটনার নিন্দাও জানান রিজভী। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম, আবদুস সালাম আজাদ, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের জাহিদুল কবির উপস্থিত ছিলেন।