ফিরলেন না এবার আর পর্দার জনপ্রিয় ’দুলাভাই’ বা সেই কালজয়ী চরিত্র ‘বদি’ দর্শকদের মাঝে। ফিরলেন না পরিবারে, ফিরলেন না দপ্তরে হাসিমুখ হয়ে।
দির্ঘদিন ক্যান্সার এবং পরবর্তীকালে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ছাড়লেন এপারের বন্ধন। তাকে নিয়ে অসংখ্য মানুষের সহস্র স্মৃতি। তেমনই একজন হানিফ সংকেত।
হানিফ সংকেত নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন এভাবে।
“প্রায় পঁচিশ বছর ধরেই তিনি ‘ইত্যাদি’র অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্ব ‘মামা-ভাগ্নে’র ‘মামা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি নিজে যেমন এই চরিত্রটিকে ভালোবাসতেন, তেমনি দর্শকদের কাছেও প্রিয় ছিলো এই ‘মামা’ চরিত্রটি। অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক ও সুশৃঙ্খল জীবন-যাপন করতেন কাদের ভাই। দেখে কখনও মনেই হয়নি এত বড় একটি রোগ তাঁর শরীরের এতটা ক্ষতি করে ফেলেছে। গত ৩০ অক্টোবর প্রচারিত ‘ইত্যাদি’ই ছিলো কাদের ভাইয়ের জীবনের শেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটির ধারণের সময়ই কাদের ভাইকে কিছুটা অসুস্থ ও মলিন দেখাচ্ছিলো। আগের সেই উচ্ছ্বাস ছিলো না। ধারণ শেষে যাবার সময় বলেছিলেন তাঁর শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। দোয়া চাইলেন। এরপর হঠাৎ করে শুনলাম তিনি চেন্নাইয়ের হাসপাতালে। ভিডিও কলে কথা হলো।
মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, নাকে অক্সিজেন মাস্ক। কাদের ভাইয়ের এই চেহারা দেখবো কখনও কল্পনাও করিনি। আমাকে দেখে আবেগে কেঁদে ফেললেন। এরপর চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে নামার পর আবার কথা হলো। বললেন, ‘দেশের মাটিতে এসেছি, দোয়া করবেন যাতে আবার একসাথে কাজ করতে পারি।’ আবারও সেই কান্নাভেজা কণ্ঠ। আরো ৬টি মাস বাঁচতে চেয়েছিলেন কাদের ভাই কিন্তু মৃত্যু তাকে সে সুযোগ দেয়নি। এত দ্রুত যে তিনি এতটা অসুস্থ হবেন এবং আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন তা কল্পনাও করিনি।
কাদের ভাই শুধু ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পীই ছিলেন না, ছিলেন ‘ইত্যাদি’ পরিবারের একজন সদস্য। গুণী এই অভিনেতার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তাঁর জন্য মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।”
নিজের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে তিনি এই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।