দেশের হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ছয় হাজার ৭৩৩ জন। এদের মধ্যে রাজধানীর ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে তিন হাজার ৪১৯ জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালে তিন হাজার ৩১৪ রোগী উল্লেখিত সময় পর্যন্ত ভর্তি ছিলেন।
এর আগে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ১৬৮ জন। এদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ৩ হাজার ৬৬৮ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে সাড়ে ৩ হাজার রোগী ভর্তি ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ১ হাজার ৬১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৫৭ জন এবং বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ৮৫৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ৫৪ হাজার ৭৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৮ হাজার ২৪ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। ছয় হাজার ৭৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের।
এর আগে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ১ হাজার ৭৬০ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। অর্থাৎ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে।
এদিকে ডেঙ্গু রোগী কমে আসার চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রোগটি নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার নিম্নগতি দেখতে পাচ্ছি। এতে করে আশা করছি, রোগীর সংখ্যা আর বাড়বে না।’
অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, আগের দিনের তুলনায় গত চব্বিশ ঘণ্টায় রোগীর সংখ্যা পাঁচ শতাংশ কমেছে। এভাবে চললে ডেঙ্গু আর বাড়বে না। সরকারিভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টির কারণে ডেঙ্গু রোগী কমছে বলে মনে করেন তিনি।