হাসান আরিফের নামাজে জানাজায় শরিক প্রধান উপদেষ্টা

image-167604-1734713857

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা নগরীর ধানমন্ডি ৭-এর মসজিদে এশা’র নামাজের পর উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের নামাজে জানাজায় শরিক হয়েছেন।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টা আজ বিকেলে দুবাই থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।
পরে তিনি প্রয়াত উপদেষ্টাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দর থেকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ছুটে যান।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হাসান আরিফ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে নগরীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স ছিল ৮৫ বছর।

তিনি ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।

আল-আজহার শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার আহ্বান প্রফেসর ইউনূসের

 প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বপ্ন পূরণ এবং জীবনে সফল হতে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ এখানে প্রাপ্ত একটি বার্তায় বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময় তিনি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করায় বাংলাদেশের জনগণ আজ ব্যাংক থেকে সুফল ভোগ করছে।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাকে স্বপ্ন দেখতে হবে, যদি আপনার স্বপ্ন না থাকে তবে আপনি জীবনে সফল হবেন না।’

প্রফেসর ইউনূস বলেন, তার স্বপ্ন ছিল বলেই গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।

সামাজিক ব্যবসার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজ পরিবর্তনে লক্ষ্য অর্জনে সামাজিক ব্যবসার বিকল্প নেই।

তার ‘থ্রি জিরো থিওরি’ সম্পর্কে নোবেল বিজয়ী বলেন, বিশ্বকে এগিয়ে নিতে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য দারিদ্র্য এবং শূন্য বেকারত্ব- এই তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

এর আগে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. সালামা দাউদ অধ্যাপক ইউনূসকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড মাহমুদ সিদ্দিক।

Pin It