হৃদরোগ নিয়ে যে ধারণাগুলো ঠিক নয়

pic-4-5d836a804c51b

গোটা বিশ্বে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকে মনে করেন, কম বয়সীদের হৃদরোগের ঝুঁকি কম। কিন্তু কথাটা ঠিক নয়। যেকোনো বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে।

অনেকে মনে করেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হলেই বুকে ব্যথা হকে। এটা ঠিক নয়। বয়স্ক ও ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের বুকে ব্যথা নাও হতে পারে৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে বুকে ব্যথা ছাড়াও শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ ধরা বা অস্বস্তি, ঘাম, গা–বমি, অসম্ভব দুর্বলতা, হাতে বা পিঠে ব্যথা, বদহজম, বুক ধড়ফড় ইত্যাদি হতে পারে৷

কারও কারও ধারণা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগ হবে না। এটাও ঠিক নয়। কারণ ডায়াবেটিস এমন একটি অসুখ যার প্রভাবে রক্তনালিতে প্রদাহ দেখা দেয়৷ ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে৷ রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখার পাশাপাশি ওজন, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে বিপদের আশঙ্কা থেকে যায়৷

অনেকের ধারণা একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হলেই সব শেষ। কিন্তু বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে, ওষুধপত্র খেলে ও নিয়ম মেনে চললে হৃদরোগের পরও ভালো থাকা যায়।

মেয়েদের হৃদরোগের ঝুঁকি কম- এ ধারণাটাও ঠিক নয়। তবে ইস্ট্রোজেন হরমোনের সুরক্ষা থাকায় মেনোপজের আগে আশঙ্কা কিছুটা কম থাকে। তবে অনিয়মিত জীবনযাপন, ধূমপান, মানসিক চাপ, গর্ভনিরোধক পিল গ্রহণ ইত্যাদি কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ-ডায়াবেটিস হলে মেয়েদেরও কম বয়সে হৃদরোগের আশঙ্কা দেখা দেয়।মেনোপজের পর এ ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

এ কারণে ভুল ধারণা লালন না করে নিয়মিত শরীরচর্চা, মানসিক চাপ কমানো, পরিমিত খাদ্যাভাস ও নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো উচিত।

Pin It