বন্যার ক্ষতি সামলে ওঠার প্রস্তুতির কালে আবারো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী পাঁচ দিনে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল পুনরায় প্লাবিত হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃদ্ধি পেতে পারে গঙ্গা-পদ্মার পানিও।
এই অবস্থায় কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি, গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি, সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ ও কাজীপুর, জামালপুর জেলার বাহাদুরাবাদ, টাঙ্গাইল জেলার এলাসিন এবং মানিকগঞ্জ জেলার আরিচা পয়েন্টে পানি সমতল আগামী ৫ দিনের মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বেড়ে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পয়েন্ট, মুন্সিগঞ্জ জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্ট এবং শরীয়তপুর জেলার সুরেশ্বর পয়েন্টে পানি সমতল বাড়তে পারে। যার ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এছাড়া মুন্সিগঞ্জ জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্ট এবং শরীয়তপুর জেলার সুরেশ্বর পয়েন্টে পানি সমতল ১৮ আগস্ট নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। নারায়ণগঞ্জে লক্ষ্যা নদীর পানি সমতল বাড়তে পারে। মিরপুর পয়েন্টে তুরাগ নদ এবং রেকাবি বাজার পয়েন্টে ধলেশ্বরী নদীর পানি সমতল বাড়তে পারে। চলতি সপ্তাহেই ঢাকার নিম্নাঞ্চলে বন্যা হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবার জুনের শেষে স্বল্পমেয়াদে এবং জুলাইয়ের প্রথমভাগে মধ্যমেয়াদের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেই প্রভাব এখনো আছে। এখনো দুটি নদীর পানি দুটি স্থানে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টিপাত বাড়বে। ভারতের আসাম, মেঘালয়েও বৃষ্টিপাত বাড়ছে। যে কারণে দেশের অভ্যন্তরের নদ-নদীগুলোর পানির উচ্চতাও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।