দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর ২০১০-১৯ পর্যন্ত ১০ বছরে ৩০ ধাপ এগিয়েছে। বিশ্বের ব্যস্ততম কনটেইনার পরিবহনে শীর্ষ এমন ১০০ বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন অবস্থান হচ্ছে ৫৮তম।
বিশ্বের সেরা কনটেইনার পোর্টের স্বীকৃতি মিলেছে চীনের সাংহাইয়ের। এ তালিকায় চীনের আছে আরও ২২টি বন্দর। দ্বিতীয় স্থানে আছে সিঙ্গাপুর। ১০০তম হয়েছে তাইওয়ানের তাইপে বন্দর।
লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক প্রাচীন সংবাদমাধ্যম প্রতিবছর এ তালিকা প্রকাশ করে। যাতে ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৬৪তম। সর্বশেষ প্রকাশিত হলো ২০১৯ সালের তালিকা।
২০১০-২০১৯ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৮৮, ৮৯, ৯০, ৮৬, ৮৭, ৭৬, ৭১, ৭০, ৬৪ ও ৫৮।
সূত্র জানায়, রোদ, বৃষ্টি, সাগরের ঢেউয়ের ঝাপটা থেকে নিরাপদে পণ্য পরিবহন এবং সহজে হ্যান্ডলিং ও ডেলিভারি সুবিধার কারণে বিশ্বজুড়ে কনটেইনারে আমদানি-রফতানি বাড়ছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মোট পণ্য পরিবহনের ২৭ ভাগ কনটেইনারে হয়ে থাকে। যা দেশের মোট কনটেইনারবাহী পণ্যের ৯৮ শতাংশ। বাকি পণ্য বাল্ক, ব্রেক বাল্ক ও ট্যাংকার জাহাজে আমদানি হয়। এসব খোলা পণ্যের বেশিরভাগই সিমেন্ট, ইস্পাত, সিরামিক, চিনি, ডাল, গম ইত্যাদি খাদ্য, কয়লা, ভোজ্য ও জ্বালানি তেল।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ক্রমে বাড়ছে। আধুনিক বন্দর ব্যবস্থাপনা, স্বল্প মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ, নতুন নতুন হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহের পাশাপাশি সরকার, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সহযোগিতায় একের পর এক সাফল্য স্বীকৃতি অর্জন করছি আমরা। পতেঙ্গা কনটেইনার টারমিনাল, লালদিয়া টার্মিনাল, বে টার্মিনাল হয়ে গেলে বিশ্বের শীর্ষ কনটেইনার পোর্টে আমরা অনেক ধাপ এগোতে পারবো।