আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম দফায় ৩২৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আর তফসিল ঘোষণা করা হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বুধবার ( ১৭ ফেব্রুয়ারি) কমিশন সভা শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপির মধ্যে কয়েক ধাপে ভোট হবে। ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপের ইউপি ভোটের সঙ্গে পৌর নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে ৯টি পৌরসভার ভোটও গ্রহণ করা হবে।
ইসি সচিব জানান, প্রথম ধাপে ৪১টি ইউপিতে ইভিএমে ভোট হবে। সেদিন ৯টি পৌরসভাতেও ভোট হবে ইভিএমে। দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২২ মার্চ থেকে জুনের মধ্যে ছয় ধাপে এসব ইউপিতে ভোট হয়।
ইসি সচিব বলেন, দেশের ২০ জেলার ৬৩ উপজেলার ৩২৩ ইউপিতে ভোট ১১ এপ্রিল হবে। সেই লক্ষ্যে মার্চের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যে এই ৩২৩ ইউনিয়ন পরিষদের তালিকাও চূড়ান্ত করেছে ইসি। স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে।
ইসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, কমিশন থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হওয়ার পর প্রথম ধাপের ভোটের জন্য সিডি প্রস্তুত করার জন্য বলা হয়েছে। প্রথম ধাপের পর পরবর্তী ধাপগুলোর ভোট হবে রমজানের পর।
গত বারের মতো আসন্ন ইউপির ভোটও হবে দলীয় প্রতীকে। চেয়ারম্যান বা মেম্বার প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় চাউর হয়েছে যে, চেয়ারম্যান প্রার্থীর ক্ষেত্রে এইচএসসি এবং মেম্বার প্রার্থীর ক্ষেত্রে এসএসসি পাশ হতে হবে। এটিকে স্রেফ গুজব বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এ ধরনের কোনো উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়নি। কোনো পরিকল্পনাও নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য সংসদ সদস্যদের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না। সেখানে ইউপিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক করা সংবিধান বিরোধীও।