গত বছর থেকে ঘরোয়া মৌসুম শুরুতেই ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে বিসিবি। এবারও জাতীয় লিগ শুরুর আগে ফিটনেস পরীক্ষা নেওয়া হবে। গতবারের তুলনায় এবার ফিটনেসের পরীক্ষায় আরও কড়া হচ্ছে বিসিবি। গতবার যেখানে ব্লিপ টেস্টে ‘৯’ পেলেও খেলার সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। এবার সেটি নির্ধারণ করা হয়েছে ‘১১’। এই চ্যালেঞ্জটা কীভাবে নিচ্ছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা?
মোহা্ম্মদ আশরাফুল
‘আমরা যারা নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলি তাদের মধ্যে এটা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট যারা খেলছি, সবাই যদি অফ সিজনে ভালো সুযোগ-সুবিধা পেত তাহলে ১১ পাওয়া কোনো ব্যাপারই না। গত বছর আমি ‘১১.৫’ পেয়েছিলাম। ওই সুযোগ-সুবিধা কিন্তু আমরা পাই না। জাতীয় দল বা হাইপারফরম্যান্স (এইচপি), অনূর্ধ্ব-২৩ দলে যারা তাদের থাকে না, তাদের জন্য কিন্তু কঠিন হয়ে যায়। একা একা নিজেকে তৈরি করতে হয়। তবুও আমি আশাবাদী, গত বছর যেহেতু ‘১১.৫’ পেয়েছিলাম। আমি যখন বাংলাদেশ দলে খেলা শুরু করি, তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার ফিটনেস নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। এবারও আশা করি যে নম্বর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সেটা করার চেষ্টা করব।’
তুষার ইমরান:
‘চ্যালেঞ্জ তো নিতে তো সব সময়ই প্রস্তুত। তবে যেভাবে হুট করে বলা হচ্ছে ১১ না পেলে খেলতে পারবে না, এটা বলা ঠিক নয়। খেলাটা আমাদের রুটি-রুজি। তবে অনেক খেলোয়াড় এটা পারবে না, পরীক্ষাটা ভীষণ কঠিন। এই পরীক্ষা কম-বেশি সবাই ভয় পায়! বাংলাদেশ দলের সুপার ফিট অনেক খেলোয়াড়ও তো ম্যাচের পর ম্যাচ রান পায় না, ভালো বোলিং করে না। তাদের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচকেরা? আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। এটা আমাদের রুটিরুজি। হয়তো পেরে যাব। তবে অনেক কষ্ট হবে আর কী!
মোশাররফ রুবেল:
‘আমাদের জন্য ১৫ দিন বা এক মাসের একটা কন্ডিশনিং ক্যাম্প হলে ভালো হতো। যদিও এখন সময় নেই। অবশ্যই এটি কঠিন হয়ে যাবে। যেহেতু আমার কেমোথেরাপি (মস্তিষ্কে টিউমারের) চলছে এখনো, শেষ হয়নি। তবে চিকিৎসকেরা বলেছেন, খেলতে পারব। যে কদিন কেমো থেরাপি চলে ওই কদিন বাদ দিয়ে এক সপ্তাহ পর থেকে খেলতে পারব। অনুশীলন শুরু করছি। আগেও অনুশীলন করেছি। যুদ্ধ তো করতেই হবে। জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ, মাঠে যুদ্ধ। দুই জায়গায় যুদ্ধ। কী করার আছে, করতে হবে। চেষ্টা করে যাচ্ছি যতটুকু লড়াই করা যায়, টিকে থাকা করা যায়। দোয়া করবেন আমার জন্য।’
শুভাগতম হোম চৌধুরী
‘কাজটা অবশ্যই কঠিন, আমাদের মতো যারা এখন জাতীয় দলের বাইরে আছি তাদের জন্য আরও বেশি কঠিন। আমরা কোনো ক্যাম্প করতে পারছি না। শেষ মুহূর্তে জাতীয় লিগ শুরু হওয়ার আগে হয়তো পাঁচ-সাত দিনের একটি ফিটনেস ট্রেনিং হয়। সেটি দিয়ে কতটা উন্নতি করা যাবে, জানি না। তবে আমরা চেষ্টা করছি এই সময়ের মধ্যে যতটা উন্নতি করা যায়।’