করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে অফিস-আদালত বন্ধ রেখে ঘরে থাকার মেয়াদ আরও দশ দিন বাড়ানোর প্রস্তাব গেছে সরকারপ্রধানের কাছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শনিবার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “আগামী ১৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হবে। এ সংক্রান্ত ফাইলে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে রবি বা সোমবার ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।”
সরকারি ভাষায় এই ‘ছুটি’ বাড়ানোর উদ্যোগের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “যেহেতু সংক্রমণ বাড়ছে এই পরিস্থিতিতে অফিস আদালত চালু করা যাবে না। ছুটি আমাদের বাড়াতেই হবে।”
এই ছুটির সময় নতুন কোনো নির্দেশনা থাকবে কি না, তা প্রজ্ঞাপনে বলে দেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
পাশাপাশি সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলে বিশ্বের আরও অনেক দেশের মত বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে, যাকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বর্ণনা করা হচ্ছে ‘লকডাউন’ হিসেবে।
এরপর সেই ‘ছুটির’ মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়। গত ১০ এপ্রিলের আদেশে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার ১৭ মার্চ থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে গেছে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে।