চতুর্থ বারের মতো আগামী ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে তরুণদের অন্যতম বৃহৎ প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০’। প্রতিবারের মতো এবারও দেশ গঠনে ভূমিকা রাখা তরুণদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।
এবারের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ঘোষণার আগেই আলোচনায় রয়েছে পূর্বের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ বিজয়ী সাদাত রহমান। শিশু-কিশোরদের ‘সাইবার বুলিং’ থেকে রক্ষা করতে মোবাইল অ্যাপ ‘সাইবার টিনস’-এর জন্য তার হাতে নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘চিলড্রেন পিস প্রাইজ-২০২০’ তুলে দেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী পাকিস্তানি সমাজকর্মী মালালা ইউসুফজাই। অন্যদিকে পশু চিকিৎসায় মাঠ পর্যায়ে অবদান রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রকফেলার ফাইন্ডেশনের পক্ষ থেকে ‘নরম্যান ই. বরলাগ অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পাচ্ছেন আরেক জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ডা. সালমা সুলতানা। দেশের প্রথম বেসরকারি প্রাণিচিকিত্সা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তুলেছেন তিনি। মডেল লাইভস্টক অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি সালমা সুলতানা ২০১৭ সালে জয় করেন জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
আগামী ১৭ নভেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর ট্রাস্টি নসরুল হামিদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও সিআরই-এর চেয়ারপার্সন সজীব ওয়াজেদ।
প্রথম পর্যায়ে এবার মোট ছয়টি সাব ক্যাটাগরিতে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে। ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে ছিল- নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়ন, ক্ষতিগ্রস্ত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, চরম দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন ও যুব উন্নয়ন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে সাতটি সাব ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। নির্ধারিত ক্যাটাগরিগুলো হলো- মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রম, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি কার্যক্রম, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত কার্যক্রম, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং সচেতনতা কার্যক্রম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ এবং দুর্যোগ মোকাবিলা ও ঝুঁকি হ্রাস।
প্রায় তিন লাখ সদস্য, ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৩১৫টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলা ‘ইয়াং বাংলা’র লক্ষ্য- ‘ভিশন-২০২১’ এ দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তরুণ প্রজন্মকে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনকে বিশ্বে তুলে ধরা।