৭৮ শতাংশ পোশাক শ্রমিক মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই হার ৮০ শতাংশে উন্নীত হবে। যোগাযোগ সমস্যায় অনেক কারখানার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে বৃহস্পতিবার পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে শতভাগ শ্রমিকের বেতন পরিশোধ সম্ভব হচ্ছে না। তবে ২০ এপ্রিলের মধ্যে সব শ্রমিকেরই বেতন পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনভুক্ত কারখানার ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৬০০ শ্রমিক বুধবার বিকেল পর্যন্ত তাদের মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন। বিজিএমইএভুক্ত সদস্য কারখানাগুলোতে শ্রমিকের সংখ্যা ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৪১৭। এ হিসাবে ৭৪ শতাংশ শ্রমিক এ পর্যন্ত তাদের বেতন পেয়েছেন। তবে কারখানার হিসাব বিবেচনায় নিলে অর্ধেক কারখানায় এখনও বেতন হয়নি। দুই হাজার ২৭৪ কারখানার মধ্যে এক হাজার ১৮৬টি কারখানায় গতকাল বিকেল পর্যন্ত বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএর সদস্য ও সাব কন্ট্রাক্ট বা ঠিকা কারখানা মিলে মোট শ্রমিকের সংখ্যা ৪১ লাখের বেশি।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বুধবার এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ২০ তারিখের মধ্যে সব কারখানার শ্রমিকই বেতন পাবেন। এখনও নগদে বেতন দেওয়া হয় বেশিরভাগ কারখানায়। ব্যাংকের কর্মঘণ্টা কমে আসায় সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া ছোট-মাঝারি কারখানায় বেতন পরিশোধে কিছু সমস্যা আছে। এসব কারখানাকে সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনার কারণে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়েছে। হাতে কোনো কাজ নেই। অথচ ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের কাঁচামাল আমদানির বিল পরিশোধের চাপ আছে।
টেলিমেডিসিন সেবা দিচ্ছে শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র :করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে টেলিমেডিসিন সেবা দিচ্ছে কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সারাদেশে ১৭টি শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসকরা শ্রমজীবী মানুষের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। সংশ্নিষ্ট এলাকার শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম মিজানুর রহমান।
বকেয়া বেতন দাবিতে বিক্ষোভ :এদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে গতকালও বিভিন্ন কারখানায় বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের। বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বাড্ডা, ভাটারা, দক্ষিণখান, মিরপুরের দারুসসালাম, কাফরুল, কচুক্ষেত, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, কারওয়ান বাজারের কাঠপট্টি, কল্যাণপুর, কমলাপুরসহ কয়েকটি স্থানে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসেন। পরে বেতন পরিশোধের আশ্বাস পেয়ে তারা ঘরে ফিরে যান।
বাড্ডার প্রগতি সরণি এলাকায় সারা ফ্যাশন ও শমসের রাজিয়া নামে দুটি কারখানার শ্রমিকরা সকালে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে মালিকপক্ষ চলতি মাসের ২৫ তারিখের পর বেতন দেওয়ার ঘোষণা দেন। তবে শ্রমিকরা ২০ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধের দাবি জানান।