একুশ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার সকালে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে নেতা-র্কমীরা শ্রদ্ধা জানান।
এরপর হামলার ভুক্তভোগী ক্ষমতাসীন দলটির সহযোগী ও ভ্রাতৃপতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও শ্রদ্ধা জানান।
যুবলীগ, ছাত্র লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী সেখানে ছিলেন।
পরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, “ইতিহাস এই জনপদ বার বার ফিরে আসে হারানোর বেদনা নিয়ে। বার বার এখানে আগস্ট আসে বেদনার নীল রং ধারণ করে।
“সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী মঞ্চ থেকে নামতে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় শুরু হলো একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণ। স্প্লিন্টারের আঘতে রক্তস্রোতের মধ্যে কাতরাচ্ছিল শত শত নেতাকর্মী। আহত নেতাকর্মীদের উদ্ধারে এগিয়ে গেলে পুলিশ সাহায্য না করে শুরু করে লাঠি চার্য, ছুঁড়ে কাঁদানে গ্যাস। নেত্রী গাড়িতে গেলে গাড়ি লক্ষ্য করে শুরু করে গুলি।
“সেদিন হেসেছে খুনি মোশতাকের উত্তরসূরী হাওয়া ভবনের যুবরাজসহ ষড়যন্ত্রের কুশীলবরা। সেদিন তাদের টার্গেট ছিল শেখ হাসিনা, টার্গেট ছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা। আল্লার অশেষ রহমতে বেঁচে গেছেন শেখ হাসিনা।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে সবই করেছিল তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার। তদন্তকাজে সহযোগিতা কররেনি, আসতে দেওয়া হয়নি এফবিআইকে। এক সদস্যের তদন্ত কমিশন, এই কমিশন হাস্যকরভাবে পার্শ্ববর্তী দেশকে দায়ী করে বিচারকাজ শেষ করে। এভাবে দেশের বিচার ব্যবস্থায় প্রহসন শুরু করে।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত শহীদ বেদিতে শুক্রবার সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত শহীদ বেদিতে শুক্রবার সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।“ইতিহাস বড় নির্মম। সেদিন তারা যাকে টার্গেট করেছিল শুরু হয় তার হাত দিয়ে বিচার। ইনশাল্লাহ শেখ হাসিনা সরকারের এই মেয়াদে বিচারকাজ শেষ করে পঁচাত্তরের খুনিদের মত ২১ আগস্টে হত্যার রায় কার্যকর করা হবে।
“যারা বিদেশে আছে বিশেষ করে তারেক রহমানসহ সেই খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।”