২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩২ জনের মৃত্যু

image-186473-1601296936

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকালও ৩২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ১৯৩ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গতকালও মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তের ২০৫তম দিনে এই ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৯ লাখ ২১ হাজার ৩৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ৫৫৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৯২২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৪০৭ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ১৩২ জন বেশি শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১০ হাজার ৬৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ২৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ১৩ শতাংশ কম।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৭৩ জন। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৮২ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৭৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ২৮৪ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১০ হাজার ২৬১ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ২৩টি নমুনা বেশি সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২০৬টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৯২২ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১০ হাজার ৬৮৫ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১ হাাযার ২৩৭টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২১১৭ দশমিক ১০ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ১৫৯৭ দশমিক ৫৫ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৩০ দশমিক ৪৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩২ জনের মধ্যে পুরুষ ২২ জন, আর নারী ১০ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ হাজার ১৮ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ১৭৫ জন; শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ, আর নারী ২২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ৩০ জন হাসপাতালে এবং ২ জন বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৯ জন।

এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৪ জন; যা দশমিক ৪৬ শতংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৪২ জন; যা দশমিক ৮১ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১১৮ জন; যা ২ দশমিক ২৭ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৯৬ জন; যা ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৬৭৩ জন; যা ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৪০৪ জন; যা ২৭ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ২ হাজার ৬৩৬ জন; যা ৫০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে ৩ জন করে এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২ হাজার ৫৯১ জন; যা ৪৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৬৮ জন; যা ২০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৩৪০ জন; যা ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৪৩৩ জন; যা ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ১৮৭ জন; যা ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২২৮ জন; যা ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ২৩৭ জন; যা ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০৯ জন; যা ২ দশমিক ১০ শতাংশ।

ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ৪৩৭টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৭৪ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ৭৬৩টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ২৯২টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ১৮৯ জন ও শয্যা খালি আছে ১০৩টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭৮২টি, ভর্তিকৃত রোগী ১১৯ জন ও শয্যা খালি আছে ৬৬৩টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩৯টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৫ জন ও শয্যা খালি আছে ২৪টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭ হাজার ৩৮৬টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৮২৬ জন ও শয্যা খালি আছে ৬ হাজার ৫৬০টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২১১টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৮১ জন ও শয্যা খালি আছে ১৩০টি । সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১১ হাজার ৬০৫টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৬১৯ জন এবং শয্যা খালি আছে ৮ হাজার ৯৮৬টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৪২টি, রোগী ভর্তি আছে ২৮৫ জন এবং খালি আছে ২৫৭টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১২ হাজার ৮৫৭টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৫২২টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৩৪২টি।

০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১২৯ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৪৩২ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৯২৪ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৪০৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ৫১৮ জন।

গত ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৩ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ২১৮ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৫ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৪ হাজার ২২৭ জন।

Pin It