আগামীকাল শনিবার পাবনা-৪ আসনের (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) উপনির্বাচন। ভোটের আগেই নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে এই সংঘাতের ঘটনা ঘটলেও নির্বাচনে তার কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবি দুই দলের প্রার্থীদের। টানা ২৫ বছর আসনটি ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগ। আর বিরোধ ভুলে দীর্ঘ ২৫ বছর হাতছাড়া আসনটি পুনরুদ্ধারের আশা বিএনপি প্রার্থীর। জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ বলে দাবি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর। ওদিকে পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ জাতীয় পার্টির প্রার্থীর।
ঈশ্বরদী জংশন, ইপিজেডের পাশাপাশি নির্মানাধীন দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণসহ ভৌগলিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পাবনা-৪ আসন। ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলার দুই পৌরসভা ও ১২ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পাবনা-৪ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮১ হাজার ১১২ জন। ভোট কেন্দ্র ১২৯টি। সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।
পাবনা-৪ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু গত ২ এপ্রিল মৃত্যু বরণ করলে আসনটি শুন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আসনটি থেকে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের ১৮ জন লড়াই করে। অবশেষে ঈশ্বরদী উপজেলার চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে দলটি মনোনয়ন দেন। আর বিএনপি থেকে দলটির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পাটি থেকে জেলা কমিটির কার্যকারী সদস্য রেজাউল করিম খোকনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
১৯৯১ সালে আসনটিতে বিএনপির সিরাজুল ইসলাম সরদার নির্বাচিত হন। ১৯৯৬, ২০০১ সালে সিরাজ সরদার বিএনপির মনোনয়ন পেলে, বিদ্রোহী প্রার্থী হন হাবিবুর রহমান হাবিব। অন্তঃকোন্দলে বারবার এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে গেছে দাবি করে দ্বন্দ্ব কাটিয়ে এই পরিস্থিতির উত্তরণ চান বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা। নেতা কর্মীদের আশা এবার তাদের প্রার্থী বিজয়ী হবে।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, ভোটারদের আস্থা অর্জনে তাদের ভোট কেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধকরণে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। আশা করা যাচ্ছে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষ যোগ্য হবে।