করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে সীমিত আকারে চালু রয়েছে ব্যাংকিং সেবা। এই সময়ে ব্যাংকাররা সশরীরে মাসে ১০ দিন অফিস করলে পুরোমাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ বোনাস ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। করোনার মধ্যে ঘোষিত সেই বোনাসের কার্যকারিতা ২৮ মের পর থেকে বাতিল করা হয়েছে। ২৯ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত এই দুইমাসের বোনাস পাবেন কর্মকর্তারা। রবিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সূত্র জানায়, করোনার সংক্রমণে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই সময়ে সীমিত আকারে ব্যাংক খোলার রাখার সিদ্ধান্ত দিলে ব্যাংকাররা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর ১২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে সশরীরে ব্যাংকে আসা কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। করোনা বোনাসের আওতায় মূল বেসিকের সমপরিমাণ এবং যাদের বেসিক নির্ধারণ করা নেই তারা সর্বনিম্ন ৩০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা বোনাস নিতে পারবেন। এই সার্কুলারের পর অনেক কর্মকর্তা অফিসে আসা শুরু করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এদিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে এই বোনাস দিতে গড়িমসি করছে। অনেক কর্মকর্তাদের ব্যাংকে ডেকে এনে কাজ করালেও তাদের হাজিরা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে সাধারণ ছুটি থাকলেও লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ব্যাংকিং সেবার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক করোনার কারণে ঘোষিত বোনাসের মেয়াদ আগামী ২৮ মে পর্যন্ত থাকবে। ২৯ মার্চ থেকে ২৮ মে এই দুইমাস বোনাস পাবেন কর্মকর্তারা।
এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড গতিশীল করার মাধ্যমে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষে অন্যান্য খাতের মত ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুর রাখার আবশ্যকতা রয়েছে। সীমিত ব্যাংকিং কার্যক্রম প্রত্যাহার করে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কার্যক্রমে নিয়ে আসা হচ্ছে। তাই ২৮ মের পর প্রণোদনা অব্যাহত রাখার আবশ্যকতা নেই। তাই ২৯ মে থেকে বোনাস দেওয়ার সার্কুলারের কার্যকারিতা থাকবে না। তবে ২৯ মে থেকে সাধারণ ছুটির মধ্যে কেউ অফিস করলে ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা অনুসারে যাতায়াত ভাতা প্রাপ্য হবেন।