দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষ হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের ৪ জন প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ৭জন সাধারণ কাউন্সিলরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসাররা। প্রতীক বরাদ্দের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহন হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি। এ ধাপের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন ২১৪ জন। সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৩৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২২৭৩জন।
এ ধাপে তিন পদে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৩২২১ জন। মোট ২২৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এরমধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৭জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়র পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ভাঙ্গুরা, পিরোজপুরের পিরোজপুর সদর ও নারায়ণগঞ্জের তারাব পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
এরআগে ৬১ পৌরসভায় তিন পদে মোট মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৩৫৬২জন। বাছাইয়ে বাদ পড়ে ১৪৭ টি মনোনয়নপত্র। ফলে বৈধ প্রার্থী ছিল ৩৪১৫ জন। মেয়র পদে একক প্রার্থী ছিল দুই পৌরসভায়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রত্যাহারের শেষ হয়েছে গত মঙ্গলবার। আগামী ১৬ জানুয়ারি এ ধাপে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে। দ্বিতীয় ধাপে ইভিএমে ভোট হবে ২৯টি পৌরসভায়। বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট হবে। এবার পৌরসভার ভোট চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। ইতিমধ্যে তিন ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৬ জানুয়ারি ৬১ পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপের ৬৪ পৌরসভায় ভোট হবে ৩০ জানুয়ারি। চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীকে একযোগে দেশব্যাপী ২৩৪ পৌরসভায় নির্বাচন হলেও এবারে চার ধাপে এ নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে ২০ দলের প্রার্থীরা অংশ নিয়েছিল। ভোট পড়েছিল ৭৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।