আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্তমানে ৭০ লাখ টিকার ডোজ রয়েছে। সেগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায়, উপজেলায়, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে টিকাদান শুরু হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগামীকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। এদিন ২৫ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হবে। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, পুলিশ ও আর্মি- এদের মধ্যে যারা টিকা পাবেন তাদের ৫ জনের টিকা দেওয়া দেখবেন প্রধানমন্ত্রী।
টিকা নিয়ে অপপ্রচার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার টিকা আমাদের জন্য কোনো রাজনীতি নয়, মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যই এই টিকা নিয়ে আসা। এটা নিয়ে যারা অপপ্রচার করে, তারা কোনোভাবেই দেশের মঙ্গল চায় না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধনের পর টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েও টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে।
উল্লেখ্য, ব্যাপক হারে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চারশ থেকে পাঁচশ’ জনকে টিকা দিয়ে সাত দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতিদিন দুই লাখ ডোজ করে প্রথম মাসে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার ভারত থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ফ্লাইটে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫০ লাখ টিকা দেশে আসে। বিমানবন্দর থেকে টিকাগুলো বেক্সিমকোর টঙ্গীর ওয়্যারহাউসে নিয়ে রাখা হয়। এরপর সেগুলোর নমুনা পরীক্ষার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে পাঠানো হলে মঙ্গলবার মানবদেহে এই টিকা প্রয়োগের অনুমতি দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার ভারত সরকারের উপহার হিসেবে অক্সফোর্ডের টিকার ২০ লাখ ডোজ দেশে আসে।