যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ফরেন পলিসি দশকের ‘সেরা ১০০ চিন্তাবিদের’ একটি তালিকা করেছে, যেখানে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত শেখ হাসিনাকে ‘প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা’ শেণিতে সেরা ১০ চিন্তাবিদের তালিকায় রেখেছে তারা।
ফরেন পলিসি প্রতি বছর ‘১০০ লিডিং গ্লোবাল থিংকার্স’ শিরোনামে তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকা প্রণয়নের দশক পূর্তি উপলক্ষে এবার দশটি বিভাগে ১০ জন করে দশকের ‘সেরা শত চিন্তাবিদদের’ তালিকা করেছে তারা।
‘স্ট্রংম্যান’ ক্যাটাগরিতে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, চীনের ব্যবসায়ী গ্রুপ আলীবাবার চেয়ারম্যান জ্যাক মা, বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো #মি টু আন্দোলনের নারীরা, আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিনে লগার্দ, ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর কম্পিটিশন মার্গারেটে ভেস্টারজার, পররাষ্ট্র নীতি বিশ্লেষক ও টিভি উপস্থাপক ফরিদ জাকারিয়া, বিল ও মেলিন্ডা গেটস ও অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে রেখেছে ফরেন পলিসি।
‘ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি’ ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাশেম সুলেইমানি, জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডার লেয়েন, মেক্সিকোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওলগা সানচেজ করডেরো, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ, স্পেসএক্স-এর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা গিনে শটওয়েল, প্যালানটিয়ারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালেক্স কার্প, বেলিংক্যাট-এর প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক এলিয়ট হিগিনস, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিস্লাভ সুরকভ এবং ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র ও মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রী সুশি পুদজিয়াৎসু।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে ফরেন পলিসি বলেছে, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি মোকাবেলা করেছেন শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে যে উদারতা তিনি দেখিয়েছেন, তা সব সময় তিনি নিজের দেশের বিরোধীদের প্রতি দেখান না।
মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গাকে তাড়িয়ে দেওয়ার বদলে তিনি স্বাগত জানিয়ে নিজের দেশে থাকতে দিয়েছেন।
এর আগে ২০১৫ সালেও ফরেন পলিসির তৈরি করা বছরের ‘শত চিন্তাবিদের’ তালিকায় ছিলেন শেখ হাসিনা।
জলবায়ু পরবির্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকার জন্য তালিকায় ‘ডিসিশন মেকার্স’ ক্যাটাগরিতে বিশ্বের শীর্ষ ১৩ বুদ্ধিজীবীর মধ্যে রাখা হয়েছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে।