সিলেটের কাছে হেরে চাপ বাড়ল রাজশাহীর

Alok-samakal-5c4af97965a7d

সাদামাটা স্থানীয় তরুণ দল নিয়ে প্লে অফে খেলার লড়াইয়ে বেশ ভালো মতোই সামিল ছিল রাজশাহী কিংস। রংপুরের দুর্দান্ত দলের সঙ্গে বেশ পাল্লা দিচ্ছিল তারা। কিন্তু চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে সিলেটের কাছে হেরে চাপ বাড়ল মেহেদি মিরাজের দলের ওপর। প্রতিযোগিতায় এখনও ভালো মতোই আছে রাজশাহী। কিন্তু জিততে পারলে উঠে যেত রংপুরের আগে। এখন দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগংয়ের বিপক্ষে জিতলে আরও একটু এগিয়ে যাবে রংপুর।

ওদিকে টেবিলে তলানিতে থাকা সিলেট সিক্সার্স আসরে তাদের তৃতীয় জয় পেয়েছে। ছয় থেকে খুলনার কাছে হেরে সাতে নেমে গিয়েছিল। আবার ছয়ে উঠল তার। আসরে প্লে অফে যাওয়ার সুযোগ তাদের খুবই সামান্য। তবে লড়াইয়ে থাকা দলগুলোকে বিপাকে ফেলতে তাদের এমন জয়ই যথেষ্ঠ। শুক্রবার যেমন চট্টগ্রামে ৭৬ রানের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে রাজশাহীকে।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরুতে রাজশাহীর বিপক্ষে ব্যাট করতে নামে সিলেট। প্রথমে সাব্বির ফিরে গেলেনও লিটন দাস এবং জেসন রয়ের ব্যাটে ভালো জুটি পায় সিলেট। লিটন ফেরেন ১৩ বলে ২৪ রান করে। আর রয় প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে করেন ২৮ বলে ৪৩ রান। পরের আফিফ ২৮ রান, পুরান ১৯ রান করে করেন। শেষটায় অলক কাপালির ১৬ এবং তানভির সোহেলের ২৩ রানের ওপর ভর করে ১৮০ রান তোলে সিলেট।

জবাবে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। তা আর থামেনি। দলের ৩ রানের মাথায় ফেরেন আগের দুই ম্যাচে ভালো করা লাউরি ইভান্স। এরপর মুমিনুল, ডেসকটে, ফজলে রাব্বিরা একে একে সাজঘরে ফেরেন। রাজশাহীর হয়ে ফজলে রাব্বি কেবল ৪১ বলে ৫০ রান করেন। একটি ছয় এবং ছয়টি চারের মার মারেন তিনি। রাজশাহীর আর কেউ ২০ রানের ঘরে ঢুকতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জাকির হোসেনের ১৬ রান। দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১০ বল থাকতে ১০৪ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস।

সিলেটের হয়ে এ ম্যাচে অধিনায়ক সোহেল তানভির ৪ ওভারে ১৭ রান খরচা করে ৩ উইকেট নেন। মোহাম্মদ নওয়াজ তার ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখিয়ে বাংলাদেশের লেগ স্পিনার অলক কাপালি ১৪ বল করে ১৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। রাজশাহীর হয়ে মুস্তাফিজ পান ২ উইকেট।

Pin It