ঢাকা পর্বে বিপিএল যাত্রাটা ভালো হয়নি সিলেট সিক্সার্সের। বিপিএল সিলেটে গেলে স্বাগতিক দর্শকদের উল্লাস-উচ্ছ্বাসে ঢাকার ব্যর্থতা মুছবে এই ছিল দলের আশা। কিন্তু সে আশায়ও গুড়েবালি। তবে শেষটায় এসে যেন জ্বলে উঠেছে সিলটে সিক্সার্স। চট্টগ্রামে গিয়ে যেন বেরিয়ে আসছে সিলেটের সেরাটা। আগের ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে ৭৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। আর শনিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনাকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫৮ রানের বড় ব্যবধানে।
বিপিএলে তাদের বাকি আছে দুই ম্যাচ। চট্টগ্রাম পর্বে এক ম্যাচ। এরপর ঢাকায় বিপিএলের গ্রুপের শেষ পর্বে এক ম্যাচ খেলবে তারা। ওই দুই ম্যাচে জয় পেলে প্লে অফে খেলার সুযোগও পেয়ে যেতে পারে লিটন-সাব্বিররা। এর আগে গ্রুপে ছয় এবং সাতের দুষ্টচক্রে আটকে ছিল সিলেট। এবার উঠে গেছে পাঁচে। এ নিয়ে ১০ ম্যাচে চার জয় পেল সিলেট। নয় ম্যাচে তাদের সমান চার জয় নিয়ে রান রেটের মারপ্যাচে ছয়ে নেমে গেল রাজশাহী।
এর আগে চট্টগ্রাম পর্বের দ্বিতীয় দিনের শুরুর ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সিলেট। শুরুতে তারা ১৯৫ রানের বড় সংগ্রহ পায়। দলের পক্ষে কেউ ফিফটি করেননি। তবে ওয়ার্নার চলে যাওয়ার পর যেন দায়িত্ব বুঝে নিলেন স্থানীয় তারকারা। প্রথমে লিটন দাস-আফিফ হোসেন। পরে সাব্বির রহমানের ব্যাটে ভর করে ভালো ওই সংগ্রহ পায় সিলেট।
সিলেটের হয়ে লিটন দাস করেন ২২ বলে ৩৪ রান। তার সঙ্গে ওপেন করতে নেমে আফিফ হোসেন এ ম্যাচে ৩৭ বেল ৪৯ রান করেন। এ ম্যাচে সাব্বির চারে নেমে করেন ২৯ বলে ৪৪ রান। তবে ব্যর্থ হন জেসন রয় এবং নিকোলাস পুরান। মোহাম্মদ নওয়াজ ২১ বলে ৩৯ রান করলে শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ ভালো হয় সিলেটের।
জবাবে খুলনার ব্যাটসম্যানরা সেট হয়ে ফিরে গেলে বড় রানের লক্ষ্য আর তাড়া করা সম্ভব হয়নি। তাদের হারতে হয় বড় ব্যবধানে। খুলনার হয়ে এ ম্যাচে ব্রেন্ডন টেইলর করেন ৩১ রান। ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী করেন ২০ রান। পরে আল আমিন করেন ২৬ রান। এছাড়া টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যর্থ আরিফুল এ ম্যাচে করেন ২১ বলে ২৪ রান। সিলেটের হয়ে নাবিল সামাদ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। সিলেটের হয়ে তাইজুল ইসলাম নেন ৩ উইকেট।