প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার বিকেলে গণভবনে বিদেশি কূটনীতিক, মিশন ও সংস্থার প্রধান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সম্মানে এক চা-চক্রের আয়োজন করেন।
গণভবনের দক্ষিণ লনের সবুজ চত্বরে আয়োজিত এই চা-চক্রে প্রধানমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে আগত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন, যাঁদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, ৪৮টি দেশের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এবং বিভিন্ন মিশনপ্রধান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, রাশিয়া, জাপান, ভারত, সৌদি আরব, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইডেন, ইতালি ও ভ্যাটিক্যান সিটির কুটনীতিকরা চা-চক্রে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও এসএ মালেক; আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, মসিউর রহমান, তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও সালমান এফ রহমান; বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

( গণভবনে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি।)
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন এবং শেখ রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, পররাষ্ট্রসচিব মো. শহিদুল হক এবং প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
( প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকে। ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি।)
এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে গণভবনের দক্ষিণ লনের সবুজ চত্বর আবহমান গ্রামবাংলার সাধারণ বাড়িঘরের আদলে সাজানো হয়। কুঁড়েঘরের সঙ্গে বসার জন্য মাদুর ও মোড়া পাতা হয়। খাবার পরিবেশনের জন্য মাটির পাত্র ব্যবহার করা হয় এবং পুরো সময় দেশাত্মবোধক সংগীত বাজানো হয়।
অতিথি আপ্যায়নেও বিশেষত্ব হিসেবে ছিল ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, পুলিসহ হরেক রকম দেশি পিঠা। চটপটি, ফুচকা, মুড়ি, মোয়া, নারু, জিলিপি ছাড়াও মোগলাই খাবার হিসেবে ছিল কাবাব ও নানরুটি।




