একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলাকালে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংসদবিষয়ক কাজে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সংসদে মন্ত্রীরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের অনুপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা দায়িত্বে থাকবেন।
এর বাইরে অধিবেশন চলাকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং বিকল্প দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের অনুপস্থিতিতে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং তাঁর অনুপস্থিতে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সংসদে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রশ্নোত্তর প্রদান এবং সংসদ সম্পর্কিত কাজের দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংসদ অধিবেশনের সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক নিজের মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক নিজের মন্ত্রণালয়ের বাইরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সংসদ কাজে নিজের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংসদ অধিবেশনে নিজের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আগামীকাল বুধবার বেলা তিনটায় শুরু হচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন এবং একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি সংসদে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেবেন। এ ছাড়া সংসদের প্রথম অধিবেশনে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে। সংবিধানের ৭৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নতুন সংসদের প্রথম বৈঠকে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে হয়। এ জন্য কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে নোটিশ দিতে হয়। এ জন্য একজন প্রস্তাবক, একজন সমর্থক ও প্রার্থীর সম্মতি লাগবে।
বছরের প্রথম ও একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন হিসেবে আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদকাল দীর্ঘ হবে। তবে সংসদ কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হবে।গত ৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের শপথকক্ষে চার ধাপে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত ২৯৮ জন সদস্যের মধ্যে ২৮৯ জন শপথ নেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী প্রথমে নিজে শপথ নেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন। পরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যদের শপথ বাক্য পাঠান করান। সেদিন অসুস্থতার কারণে আওয়ামী লীগের সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শপথ নিতে পারেননি। পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং আওয়ামী লীগের এ কে এম রহমতুল্লাহ শপথ নেন।