ঢাকা মহানগরীতে শুক্র ও শনিবার ছাড়া সভা ও সমাবেশ এবং রাস্তায় র্যামলি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সভা শেষে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
এ বিষয়ে ইতিপূর্বে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) বোর্ড সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন মন্ত্রী।
নগরীর দখল হওয়া ফুটপাত উদ্ধার করে পথচারীদের ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ কামনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহানগরীতে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
এছাড়া নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালসমূহের সামনে বা পাশে হর্ন বাজানো বন্ধে ট্রাফিক বিভাগ, পরিবহন মালিক, চালক এবং জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মোটরসাইকেলে দু’জনের বেশি যাত্রী চলাচল করতে পারবে না এবং উভয়ের হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এ সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে কার্যকর করা জরুরি।
ট্রাফিক আইন বিষয়ে ছাত্রজীবনে জনসচেতনতা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় পাঠ্যসূচিতে ট্রাফিক সংক্রান্ত নীতিমালা সংযুক্ত করার বিষয়টি দ্রুত এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগরীর বাসরুট সমন্বয় করে গণপরিবহনে সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের নেয়া কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এ বিষয়ে ডিটিসিএ’র পরবর্তী সভায় বিস্তারিত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান সেতুমন্ত্রী।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে জনগণের যেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই, তেমনি বিদেশিদেরও কোনো অভিযোগ নেই।
বিএনপি জনগণ থেকে প্রত্যাখাত হয়ে নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্টের কছে ধরণা দিচ্ছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপির নতুন নির্বাচনের দাবি হাস্যকর। গণতান্ত্রিক বিশ্ব বিএনপির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত নয়। তাই সারা দুনিয়া নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বিরোধী দল, তারা সংসদে গিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করবে। তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সংসদে যাওয়া উচিত। আশা করি, তারা নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে সংসদে যোগ দেবে।’
ঐক্যফ্রন্ট বেশিদিন টিকবে না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আচরণেই প্রমাণ হচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট বেশিদিন টিকবে না। যদিও তারা বলছে, তাদের ঐক্য অটুট আছে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে ভাঙনের তাণ্ডব চলছে।’
বিএনপি ও গণফোরামের এমপিদের সংসদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ঐক্যফ্রন্টের যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা শপথ নিতে জনগণের চাপে আছেন। তারা জনগণের চাপেই শপথ নেবেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নতুন নির্বাচনের দাবির বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে মির্জা ফখরুল কীভাবে নির্বাচিত হলেন? এই রহস্য জানাবেন কি?’
স্থানীয় সরকার নির্বাচন শতভাগ নিরপেক্ষ হবে জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আসা উচিত।
সভায় ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নবনিযুক্ত শিক্ষানবিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।