বাঁচা-মরার ম্যাচে দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রেখেছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের বোলাররা। বাকি কাজটুকু সহজেই সেরেছেন ব্যাটসম্যানরা। প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইটানসকে অনায়াসে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে সাকিব আল হাসানের দল।
বিপিএলে শনিবারের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছে ঢাকা। ১২৪ রানের লক্ষ্য ৩১ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তারা। টানা পাঁচ ম্যাচে হারের পর জয় পেল ঢাকা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। রুবেল হোসেনকে উড়ানোর চেষ্টায় উপুল থারাঙ্গাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন জুনায়েদ সিদ্দিক। ঢাকার ডানহাতি পেসার পরে বিদায় করেন দাভিদ মালানকে।
ব্রেন্ডন টেইলরের ব্যাটে ছিল ঝড়ের আভাস। তবে দুটি চার ও এক ছক্কায় ১৪ বলে ১৮ রান করা জিম্বাবুয়ের কিপার ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব।
৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া খুলনাকে টানতে পারেননি পরের ব্যাটসম্যানরা। গড়ে তুলতে পারেননি তেমন কোনো জুটি। ভালো শুরুটা বড় করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও আল আমিন জুনিয়র।
শেষের দিকে ২৭ বলে একটি করে ছক্কা-চারে ৩০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে দলকে ১২৩ পর্যন্ত নিয়ে যান ডেভিড ভিসা।
রুবেল ও সাকিব নেন দুটি করে উইকেট। চার ওভারে আঁটসাঁট বোলিংয়ে মাত্র ১৪ রান দেন আন্দ্রে রাসেল।
ছোট রান নিয়ে লড়াই করার মতো যে বোলিং-ফিল্ডিং দরকার ছিল তা করতে পারেনি খুলনা। ১৩ বলে চার ছক্কা ও দুই চারে ৩৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে ঢাকাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সুনিল নারাইন।
সাকিব ও মিজানুর রহমানের দ্রুত বিদায়ের পর ফিরে যান থারাঙ্গাও। শ্রীলঙ্কান এই বাঁহাতি ওপেনার ৩০ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ফিরেন ৪২ রান করে। দলের জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া এই ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।
সাবধানী ব্যাটিংয়ে কাইরন পোলার্ডকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন নুরুল হাসান সোহান। এই কিপার ব্যাটসম্যান ২৬ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১৪ রানে নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাদ্দাম।
১২ ম্যাচে ছয় জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে এল ঢাকা। রান রেটে পিছিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল রাজশাহী কিংস।
আগামী সোমবার এলিমিনেটর ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের মুখোমুখি হবে ঢাকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা টাইটানস: ২০ ওভারে ১২৩/৮ (টেইলর ১৮, জুনায়েদ ২, মালান ৭, মাহমুদউল্লাহ ১৪, শান্ত ২৪, আল আমিন জুনিয়র ১২, ভিসা ৩০, তাইজুল ১২, সাদ্দাম ১, জুনাইদ ০*; রাসেল ৪-০-১৪-০, রুবেল ৪-০-২৭-২, সাকিব ৪-০-৩২-২, নারাইন ৪-০-২০-১, অনিক ৩-০-২০-১, মাহমুদুল ১-০-১০-০)
ঢাকা ডায়নামাইটস: ১৪.৫ ওভারে ১২৪/৪ (থারাঙ্গা ৪২, নারাইন ৩৫, সাকিব ১, মিজানুর ০, সোহান ২৭*, পোলার্ড ৯*; শুভাশিস ১-০-১৫-০, জুনাইদ ৩-০-২৩-০, সাদ্দাম ২-০-২৬-১, ভিসা ২-০-১৭-০, মাহমুদউল্লাহ ৩-০-১৪-২, তাইজুল ৩-০-২৩-১, মালান ০.৫-০-৩-০)
ফল: ঢাকা ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: উপুল থারাঙ্গা