চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। ঝালকাঠি-১ আসনের বজলুল হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে চার লাখ ৯৫ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বিদ্যমান রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে নতুন দুই লাখ ৩৫ হাজার কিলোমিটার লাইন নির্মাণ হয়েছে। এ সময়ে দুই কোটি ১৭ লাখ নতুন সংযোগের মাধ্যমে মোট গ্রাহক তিন কোটি ২৫ লাখে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুতে সিস্টেমলস ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ থেকে কমে ১১ দশমিক ৮৫ ভাগে দাঁড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম-৪ আসনের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন ৮৪ হাজার ৫৬৩টি গ্রামের মধ্যে ৭০ হাজার ১২০টিতে পূর্ণাঙ্গভাবে ও নয় হাজার ৮১৮টিতে আংশিকভাবে বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। চার হাজার ৬২৫টি গ্রাম বিদ্যুতায়ন হয়নি।
নওগাঁ-৬ আসনের ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে এক হাজার ১৬৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪টি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে।
শিগগিরই নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা: খুলনা-৪ আসনের সালাম মুর্শেদীর প্রশ্নের জবাব তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের পর গত বছরের ১ মার্চ থেকে সব গণমাধ্যম কর্মীর ৪৫ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদের সুপারিশ পরীক্ষা করে শিগগিরই গেজেট প্রকাশ করা হবে।
জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রত্নার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সব অনলাইন গণমাধ্যমকে অনলাইন নীতিমালার আওতায় নিবন্ধিত হতে হবে। অন্য এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, কিছু বেসরকারি টেলিভিশনের মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল। আমরা কিছু দিনের মধ্যে টিভি চ্যানেলগুলোর মালিক ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসব। চ্যানেলগুলোতে যাতে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন না করা হয়, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি জানান, মন্ত্রিসভার অনুমোদিত সম্প্রচার নীতিমালার আলোকে একটি সম্প্রচার কমিশন গঠন করা হবে।
ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সারাদেশে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা এক হাজার ২৪৮টি। এর মধ্যে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ৫০২টি ও আঞ্চলিক ৭৪৬টি। সারাদেশে সাপ্তাহিক পত্রিকা এক হাজার ১৯২টি, মাসিক ৪১৪টি ও অন্যান্য ৪১টি। এ ছাড়া দুই হাজার ২১৭টি অনলাইন মিডিয়া রয়েছে, যার মধ্যে অনলাইন পত্রিকা এক হাজার ৮৭৪টি ও ইন্টারনেট টেলিভিশন ২৫৭টি, অনলাইন রেডিও ৪৫টি ও ই-পেপার ৪১টি।