আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জামায়াতকে ছেড়ে দেবে বলে মনে হয় না। কারণ দুটো দলই সাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে। এটা হলেও কৌশলগত হতে পারে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন । স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে সব দলকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। এরপর বিএনপি এতে অংশ নিল কি নিল না, তা নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো মাথাব্যথা নেই।
সড়কে শৃঙ্খলা না ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী নিজের দায় স্বীকার করে বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিআরটিএর কার্যক্রম ঢেলে সাজানো হবে। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভা হবে। এখানে সংশ্নিষ্টদের কাছ থেকে সুপারিশ চাওয়া হবে। এ সময় সড়কে ছোট যান চলাচল বন্ধ করা রাতারাতি সম্ভব নয়। এর জন্য অনেক ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের দায় রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় ও জাতির দুর্ভাবনা অবসানের স্বার্থে সড়ক দুর্ঘটনার লাগাম টেনে ধরতেই হবে। কারণ সড়ক দুর্ঘটনা এখন সবচেয়ে বড় দুর্ভাবনা। এটা অস্বীকার করে লাভ নেই।
সড়ক দুর্ঘটনা কি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আর যেটা সম্ভব সেটা কেন করব না? সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আনতেই হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বড় গাড়ির সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইকের যদি সংঘাত হয় আর ইজিবাইকে যদি ১০ জন থাকে, তবে ১০ জনই মারা যায়। বড় বড় গাড়িতে সংঘাত হলে আহত হয়, ওই রকম নিহত হয় না। তাই ছোট ছোট যানবাহন আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অনেকে ইজিবাইক, নছিমন-করিমনের সঙ্গে জড়িত। এর সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ও জড়িত আছে। কিন্তু মানুষের জীবনটা আগে বাঁচাতে হবে।
উন্নয়ন কাজের জন্য বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে যানজট হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, কাজগুলো শেষ হলে একটা সময় যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হবে।