ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতে প্রবেশ করছে আর্থিক সেবাদাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান জেপিমরগ্যান চেজ। নিজস্ব ভার্চুয়াল মুদ্রা উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কয়েকটি ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি আনার বিষয়টি বিবেচনা করছে। তবে, এক্ষেত্রে জেপিমরগ্যানের এমন সিদ্ধান্ত একটু অবাক করার মতোই৷ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জেমি ডিমন এর আগে বলেছেন, বিটকয়েনে তার “কিচ্ছু যায় আসে না।”
দেখা যাচ্ছে প্রধানের এই কড়া অবস্থানও প্রতিষ্ঠানটিকে ভার্চুয়াল মুদ্রা থেকে দূরে রাখতে পারেনি। ‘জেপিএম কয়েন’ নামে আনা এই নতুন ডিজিটাল মুদ্রা সম্ভবত প্রতিষ্ঠানটির কর্মী ও কর্পোরেট গ্রাহকদেরকে ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবহার করে লেনদেনের সুযোগ করে দেবে।
জেপি মরগ্যান-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রচলিত যে লেনদেন ব্যবস্থায় কয়েকদিন সময় লেগে যায় তার বিকল্প হিসেবেই জায়গা করে নেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি। এক সময় ফেইসবুকের মতো বড় প্রতিষ্ঠানও তাদের কর্মীদের মূহুর্তের মধ্যেই পারিশ্রমিক পরিশোধে জেপিএম কয়েন ব্যবহার শুরু করবে।
সাধারণ গ্রাহকরা এই ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবহার করে কেনাকাটা বা লেনদেন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অবশ্য কিছু উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ব্লকচেইন খাতে প্রবেশে এটিই যে জেপি মরগ্যানের প্রথম পদক্ষেপ তা নয়।
এর আগে নিজস্ব ইথারনাম ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক বানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভার্চুয়াল মুদ্রা খাতে মুদ্রার দাম ওঠানামা সাম্প্রতিক সময়ে একটি আলোচনার বিষয়। এমন অবস্থায় অন্যান্য ভার্চুয়াল মুদ্রার তুলনায় জেপিএম কয়েনের দাম স্থিতিশীল রাখতে একে ডলারের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা হয়েছে।
কয়েক মাসের মধ্যে স্বল্প পরিমাণে এই মুদ্রা বাজারে ছাড়া হবে। সবার জন্য এটি আদৌ ছাড়া হবে কিনা আর হলেও তা কবে নাগাদ করা হবে এ বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।