নিউ জিল্যান্ড সফরে শেষ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা সাব্বির রহমান ধরে রাখলেন দেশে ফিরেও। তিনে নেমে সময়োপযোগী ফিফটি, বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি উইকেট। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে আবাহনীর জয়ের নায়ক সাব্বির।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২৫ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছেন আবাহনী লিমিটেড।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার সাব্বির খেলেন ৪৩ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। ২০ ওভারে আবাহনী তোলে ১৫০ রান। ব্রাদার্স থমকে যায় ১২৫ রানে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আবাহনী বিপদে পড়েছিল শুরুতেই। ৭ রানের মধ্যে হারায় তারা দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও নাজমুল হোসেন শান্তকে।
দলকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন সাব্বির ও মোসাদ্দেক হোসেন। তৃতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ৩৮ বলে ৫২ রানের জুটি। অধিনায়ক মোসাদ্দেক ফেরেন ১৮ বলে ২৩ রান করে।
পরের উইকেটে আরেকটি ভালো জুটি পায় আবাহনী। এবার জাহিদ জাভেদকে নিয়ে সাব্বিরের জুটি ৫৮ রানের।
দারুণ খেলতে থাক্কা সাব্বিরের বিদায়ের ভাঙে এই জুটি। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ বলে ৫৮ রান করে ফেরেন সাব্বির।
দুটি করে চার-ছক্কায় জাভেদ ৩৩ বলে ৪৪ করলেও আরেক পাশ থেকে সেভাবে ঝড় তুলতে পারেনি কেউ। শেষ দিকে তাই আবাহনী পায়নি প্রত্যাশিত রান।
ব্রাদার্সের ১৭ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার মেহেদি দারুণ বোলিংয়ে নেন ২ উইকেট।
স্কোর নিরাপদ ছিল না, তবে বোলিংয়ে আবাহনীকে ভালো শুরু এনে দেন মোসাদ্দেক। ইনিংসের প্রথম ওভার বোলিংয়ে এসে আবাহনী অধিনায়ক ফিরিয়ে দেন ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে।
দ্বিতীয় উইকেটে মিজানুর রহমানকে নিয়ে জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি। তবে মিজানের ব্যাটে ছিল না টি-টোয়েন্টির গতি। ৬৬ রানের জুটি আসে ৬০ বলে। ৩৮ বলে ৩০ করে আউট হন মিজানুর।
এবার বিপিএলে আলো ছড়ানো ইয়াসির চেষ্টা করে গেছেন এরপর। কিন্তু ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৪১ রান করা ব্যাটসম্যানকে ফেরান সাব্বির। এরপর আর সেভাবে গতি পায়নি ব্রাদার্সের ইনিংস।
সাব্বির পরে ফেরান পাঁচে নামা হাবিবুর রহমানকেও। লেগ আর অফ স্পিনের মিশেলে ৪ ওভারে ২ উইকেট নেন মাত্র ১৬ রান দিয়ে।
অধিনায়ক শরিফউল্লাহ (২৬ বলে ৩১*) এরপর এক প্রান্তে দলের আশা হয়ে থাকলেও আরেক পাশে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। ব্রাদার্স তাই যেতে পারেনি কাছেও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী: ২০ ওভারে ১৫০/৭ (মুনিম ৩, শান্ত ৩, সাব্বির ৫৮, মোসাদ্দেক ২৩, জাভেদ ৪৪, আব্দুল্লাহ ৬, তাপস ৪, শাকিল ১*; মেহেদি ৪-০-২৬-২, হাবিবুর ২-০-১৩-১, রনি ৪-০-৩২-২, সাখাওয়াত ৩-০-২৫-১, শাহজাদা ৪-০-২৭-১, শরিফউল্লাহ ৩-০-২৭-০)।
ব্রাদার্স : ২০ ওভারে ১২৫/৭ (মিজানুর ৩০, ফজলে মাহমুদ ০, ইয়াসির ৪১, শরিফউল্লাহ ৩১*, হাবিবুর ৪, শাহজাদা ৩, হামিদুল ৮, শরিফুল ০, সাখাওয়াত ০*; মোসাদ্দেক ১-০-৬-১, রুবেল ৪-০-২২-০, আরিফুল ৩-০-১৫-০, অপু ৪-০-২৬-৩, জাভেদ ১-০-১০-০, তাপস ৩-০-২৫-১, সাব্বির ৪-০-১৬-২)।
ফল: আবাহনী ২৫ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: সাব্বির রহমান