ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে তার ব্রেক্সিট চুক্তিতে সমর্থন পেতে গেলে তাকে ‘তিনটি পরীক্ষায়’ পাস করার প্রস্তাব দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদপন্থি টোরি এমপি’রা।
ব্রেক্সিট-সমর্থক ইউরোপীয়ান রিসার্চ গ্রুপের নতুন এ প্রস্তাবকে সমস্যার সর্বসম্মত সমাধান খোঁজার প্রকৃত প্রচেষ্টা হিসাবেই স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী লিয়াম ফক্স।
ব্রেক্সিট সমর্থক এই এমপি’রাই গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী মে’র চুক্তি ভোটে নাকচ করে সংশোধিত একটি চুক্তি করার দাবি জানিয়েছিলেন।
‘দ্য সানডে টাইমস’ পত্রিকা জানায়, মে’র কনজারভেটিভ পার্টির কট্টর-ব্রেক্সিট সমর্থকরা এখন ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি, নর্দার্ন আইরিশ পার্টির সমর্থনে তিনটি পরীক্ষার রূপরেখা দিয়ে একটি নথি প্রস্তুত করেছেন। মে চুক্তিতে সমর্থন পেতে গেলে তাকে এ পরীক্ষাগুলোতে উৎরাতে হবে।
এমপি’দের শর্তানুযায়ী প্রথমত, মে’র সংশোধিত চুক্তি অবশ্যই পরিষ্কার ভাষায় লেখা হতে হবে। দ্বিতীয়ত, আইনগতভাবে তা মানার বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে এবং তৃতীয়ত, বেরিয়ে যাওয়ার পথটি পরিষ্কার থাকতে হবে।
মে এ দাবিগুলো পূরণ করতে পারলে তিনি আগামী ১২ মার্চে পার্লামেন্টের ভোটে ব্রেক্সিট চুক্তিতে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ডিইউপিসহ অনেক ব্রেক্সিটপন্থি সমর্থকের সমর্থন পাবেন।
মে তার চুক্তিটি নিয়ে ১২ মার্চে ভোট অনুষ্ঠানের ঘোষণা আগেই দিয়েছেন। ওইদিন ভোটে চুক্তি পাস না হলে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট হবে কিনা সে প্রশ্নে এমপি’দের একটি ভোট দেওয়ার সুযোগ রেখেছেন তিনি। তাতেও কোনো সুরাহা না হলে ১৪ মার্চে ব্রেক্সিটে দেরী করা হবে কিনা সে প্রশ্নেও এমপি’দের আরেকটি ভোটের সুযোগ রেখেছেন মে।
আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে হবে। তার আগে চুক্তিটি পার্লামেন্টে পাস না হলে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটেরও পট প্রস্তুত হতে পারে।
ইইউ’র সঙ্গে মে’র ব্রেক্সিট চুক্তিটি এতদিন ধরে বার বার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার অন্যতম কারণ আইরিশ সীমান্ত ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্টি; যা চুক্তিতে ‘ব্যাকস্টপ’ নামে পরিচিত।