চুয়ান্ন বছর পর যশোরের মানুষ আবার ট্রেনে কলকাতা যাওয়া-আসা শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা ৫ মিনিটে যশোর স্টেশন থেকে ৩১ জন যাত্রী ওঠেন খুলনা থেকে কলকাতাগামী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটিতে।
এ সময় যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ও মিষ্টিমুখ করান যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্সের ল্যান্ডপোর্ট সাব-কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, যশোর রেলস্টেশন মাস্টার পুষ্পল কুমার চক্রবর্তী ও যাত্রীকল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ।
যশোর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার পুস্পল কুমার চক্রবর্তী জানান, ৭ মার্চ দুপুর পর্যন্ত ভারতে যাওয়ার জন্যে ৩১টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। ট্রেনটি চলাচলের জন্যে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় যশোর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে বন্ধন ট্রেনটি। এর এসি চেয়ার ভাড়া প্রতি সিট ১৫০০ টাকা ও এসি কেবিন ২০০০ টাকা। যশোর স্টেশনের জন্য ২০০ আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে স্টেশন মাস্টার জানান।
১৯৬৫ সাল পর্যন্ত যশোর অঞ্চল থেকে কলকাতার সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ ছিল। পরে ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে খুলনা-কলকাতা রুটে ‘বন্ধন’ ট্রেনটি চলাচল শুরু হলেও তা যশোরে থামত না। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এখন থেকে এটি যশোরেও যাত্রী ওঠানামা করাবে।
ট্রেনটি কলকাতা থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় ছেড়ে যশোর পৌঁছাবে বেলা সাড়ে ১১টায়; এরপর খুলনা পৌঁছাবে দুপুর সাড়ে ১২টায়। ফের এই ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে খুলনা থেকে দুপুর দেড়টায় যাত্রা করে যশোর পৌঁছাবে দুপুর আড়াইটায়; আর কলকাতা পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
প্রথম ট্রেনের টিকিট ক্রয়কারী যাত্রী ব্যবসায়ী মাহাবুব উদ্দিন বলেন, “মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে আমরা কলকাতা পৌঁছাতে পারব। এটা খুবই আনন্দের কথা। তবে টিকিটের দাম কিছুটা কম হলে ভাল হয়।”
বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটির ভাড়া কমানো এবং সপ্তাহে একদিন চলাচলকারী ট্রেনটি অন্তত দুদিন চালানো দাবি করেছেন যাত্রীরা।
শহরের রেলগেট এলাকার ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, “বন্ধন ট্রেনের ভাড়া কমানো এবং সপ্তাহে অন্তত দুদিন চালানোর দাবি জানাচ্ছি। কারণ অনেকেই ভারতে গিয়ে তিন, চারদিনের মধ্যে ফিরে আসতে চান। ফলে তারা যাওয়া এবং আসা দুটোই এই ট্রেনে করতে পারবেন।”