বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন আরও বাড়াতে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি) ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের (ব্রি) মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের (ইরি) মহাপরিচালক ম্যাথিউ মরেলের সঙ্গে আলোচনায় এই আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা সফরে আসা মরেল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলেন বলে প্রধানমন্ত্রীর ‘স্পিচ রাইটার’ মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান।
ধান উৎপাদন বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে ভাতের বিকল্প নেই। এজন্য চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
“ধানের উৎপাদন আরও বাড়াতে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি) ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিরি) মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা জোরদার করতে হবে।”
বাংলাদেশের কৃষকরা ‘স্মার্ট’ ও ‘দ্রুত’ প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে পারে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
পরিবেশের প্রতি সচেতন থেকে কৃষিকাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির চেয়ে ভূ-পৃষ্ঠের পানি ব্যবহার বেশি করার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “লবণাক্ত, খরা ও শীতসহিষ্ণু নতুন জাতের ধান উৎপাদন করতে হবে। হাইব্রিড চালের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে এই চালকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হবে। হাওরে ঠাণ্ডা প্রতিরোধক চাল উৎপাদন করে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে।”
ধান উৎপাদনে উত্তরাঞ্চলে পানি ‘বেশি লাগে’ ও দক্ষিণাঞ্চলে ‘কম লাগে’ উল্লেখ করে সেচ সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে চাষাবাদের পরামর্শ দেন তিনি।
পাশাপাশি শ্রমিকের মজুরি বিবেচনায় নেওয়ার বিষয়েও গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন বাড়াতে ১৪টি কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন ইরির মহাপরিচালক ম্যাথিউ মরেল।
এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি ব্রির সঙ্গে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেন।
এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে ব্রির মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবিরও উপস্থিত ছিলেন।