সামনের দশকের শেষ দিকে লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্কে ৩০ মিনিটে যাত্রী পরিবহনের সম্ভাবনা রয়েছে অ্যারোস্পেস প্রতিষ্ঠানগুলোর।
বিনিয়োগকারীদেরকে দেওয়া এক নথিতে সুইস ব্যাংক ইউবিএস জানায়, মহাকাশ হয়ে দ্রুতগতিতে যাত্রী সেবার বাজার শীঘ্রই বছরে ১৯৭০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। এটি দূরপাল্লার ফ্লাইটের বাজার নিয়ে নিতে পারে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর।
যাত্রীরা এক শহর থেকে রকেটে চড়বেন এবং মহাকাশে পৌঁছাবে, ঘন্টায় ২৭ হাজার কিলোমিটার বেগে চলে এটি আরেক শহরে পৌঁছাবে।
ইউবিএস-এর দাবি ইলন মাস্কের স্পেসএক্স স্টারশিপ রকেটে লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় লাগবে মাত্র ২৯ মিনিট, আর সিডনি যেতে সময় লাগবে ৫১ মিনিট।
“অনেকেই হয়তো মহাকাশ হয়ে দূর পাল্লার যাত্রীসেবার বিষয়টি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মতো মনে করবেন। আমরা মনে করি এটির একটি বড় বাজার রয়েছে,” বলেন ইউবিএস বিশ্লেষক জ্যারড ক্যাসল এবং মাইলেস ওয়ালটন।
এর আগে মাস্ক বলেছিলেন, একদিন মানুষ এক ঘন্টর কম সময়ে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে যাতায়াত করতে পারবে সাধারণ ফ্লাইট টিকেটের খরচেই।
স্টারশিপ নামে নতুন একটি রকেট বানাচ্ছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স। ১০০ জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে পারবে এটি। চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে যাত্রী পরিবহন করা হবে এর মাধ্যমে। পরবর্তীতে পৃথিবীতে যাত্রী পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে এর মাধ্যমে।
ইউবিএস বিশ্লেষক বলেন, মহাকাশ ভ্রমণ আরেকটি ক্রমবর্ধমান বাজার। ২০৩০ সালের মধ্যে এই খাতের মূল্য হতে পারে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।
মহাকাশে যাত্রী পাঠাতে স্পেসএক্স-এর পাশাপাশি প্রতিযোগিতা করছে রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিক এবং জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনও।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে প্রথমবার মহাকাশে যায় ভার্জিন গ্যালাকটিকের মহাকাশযান। এই যানের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যাত্রী প্রতি গুণতে হবে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকবার সফলভাবে নিউ শেফার্ড মহাকাশযানের পরীক্ষা চালিয়েছে ব্লু অরিজিন। চলতি বছরই যত দ্রুত সম্ভব মহাকাশে ভ্রমণার্থী নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।