সারা বাংলাদেশে ফিটনেস-নিবন্ধনহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সহীন চালকের তথ্য জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকার ট্রাফিক পুলিশের উত্তর ও দক্ষিণের ডিসি ও বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক মাহবুব-ই-রাব্বানীকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
৩০ এপ্রিল আদালতেও যেতে হবে বিআরটিএ কর্মকর্তা রাব্বানীকে; কতগুলো যানবাহনের নিবন্ধন ও চালকের লাইসেন্স নবায়নের জন্য জমা আছে, কেন যথাসময়ে নবায়ন করা হচ্ছে না, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে তাকে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এই আদেশ দেয়।
বেসরকারি হিসাবে বাংলাদেশে নিবন্ধিত ৩৮ লাখ যানবাহনের বিপরীতে লাইসেন্সধারী চালক রয়েছেন ২০ লাখ।
ফিটনেস, নিবন্ধনহীন যান চলাচল ও লাইসেন্স ছাড়া যান চালানো বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীবন ও ব্যক্তির বাঁচার অধিকার রক্ষায় মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ -এর বিধান বাস্তবায়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ প্রধান, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, ঢাকা ট্র্যাফিক পুলিশের (উত্তর ও দক্ষিণ) ডিসি, বিআরটিএ সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালত আদেশের আগে বলে, “কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। সকলকেই আইন মেনে চলতে হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে কোনো দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে না।”
সড়ক একের পর এক দুর্ঘটনায় সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে ৭১ হাজার ফিটনেসহীন গাড়ি নিয়ে গত ২৩ মার্চ সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন দেখে হাই কোর্টের আদেশ হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।
আদেশের সময় আদালতে উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এ এম আমিনউদ্দিনের বক্তব্যও জানতে চায় আদালত। এছাড়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিকও আদালতে তার মত দেন।