বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আজ সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসার জন্য নতুন চিকিৎসা বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ড খালেদার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের ওপর খালেদা জিয়ার আস্থা আছে।
আজ দুপুরে খালেদার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ব্রিফিং করে এসব কথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন যেসব রোগ ও স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন তা তুলে ধরেন। মাহবুবুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার হাতে ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা আছে। তাঁর ডায়াবেটিসের মাত্রা কিছুটা বেশি। খাওয়ায় অরুচি আছে। তাঁর ঘুমও কম হচ্ছে। তিনি নিজে হাঁটাচলা করতে পারেন না অন্যের সাপোর্ট নিয়ে তাঁকে হাটতে হয়।
হাসপাতালের পরিচালক বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য গঠিত আগের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান আবদুল জলিল অবসরে যাওয়ায় গত ২৮ মার্চ মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক জিলান মিয়া সরকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডকে সহায়তার জন্য খালেদার দুজন ব্যক্তিগত চিকিৎসকও রয়েছেন। তাঁকে ৬২১ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ৬২২ নম্বর কেবিনে তাঁর ব্যক্তিগত লোকজন আছে।
পরিচালক বলেন, আজ নতুন করে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা তা দেখেছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করেছেন। খালেদা জিয়ার কাছে রোগের বিস্তারিত শুনেছেন। তারা সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। তাঁর ডায়াবেটিস আগেই ছিল। এটি বেড়েছে। আজকে খাবার পর র্যানডম ১৪ এসেছে। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসায় একজন চিকিৎসক প্রতিদিন নিয়োজিত থাকবেন। তিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন দেবেন। খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ড সদস্যদের সামনে বসে কথা বলেছেন। খুব ভালোভাবে কথা বলেছেন। মেডিকেল বোর্ডের কাছ থেকে সুন্দরভাবে চিকিৎসাপত্র নিয়েছেন। বোর্ডের প্রতি ওনার আস্থা আছে। তাঁকে দেখেছি, উনি হ্যাপি।
বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নেওয়ার দরকার আছে কি না এই প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, আমরা এখনো এমন কিছু পাইনি যার জন্য তাঁর বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন আছে। এখানেই সব চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। কবে তিনি এখান থেকে আবার কারাগারে ফিরে যাবেন জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে তিনি চলে যাবেন।