বন্ধ হচ্ছে না দেশের প্রেক্ষাগৃহ

64e9777b99494d2521169909c4ead858-5ca36446ccf0e

২০ দিন আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি হঠাৎ দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের ঘোষণা দেয়। এ কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরি হয় চলচ্চিত্রাঙ্গনে। চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি মুখোমুখি অবস্থান নেয়। আজ মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের আশ্বাসে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এসেছেন বলে প্রথম আলোকে জানান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাশ।

গত ১৩ মার্চ সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি জানায়, ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে। সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ জানান, প্রেক্ষাগৃহ চালু রাখার জন্য যে পরিমাণ সিনেমার দরকার, তা দেশে নির্মিত হচ্ছে না। তাই বিদেশি ছবির আমদানিতে সরকারের সহায়তা ও সহজ নীতিমালা তৈরির পাশাপাশি দেশের ছবির উৎপাদন বাড়ানোর ব্যাপারে সরকারি হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়। সেই সংবাদ সম্মেলনে প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের ব্যবসা ও দুরবস্থার কথা তুলে ধরা হয়।

আজ বেলা আড়াইটায় দেশের প্রেক্ষাগৃহমালিকদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করেন। সেখানে আলোচনার একপর্যায়ে তথ্যমন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দেন, খুব শিগগির সমস্যার সমাধান হবে। তথ্যমন্ত্রীর সেই আশ্বাসে আস্থা খুঁজে পান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা।তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় সুদীপ্ত দাশ বলেন, সিনেমা আমদানির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা কীভাবে অপসারণ করা যায় বা পরিবর্তন করা যায়, এটা সবার সঙ্গে আলোচনা করে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই আলোচনা সভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মন্ত্রী নির্দেশ দেন, সিনেমা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে আবেদনের দাখিলের এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে হবে। কোনোভাবে তা নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা যেন না হয়। সুদীপ্ত দাশ বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রীর কথায় আমরা ভরসা পেয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছি।’

তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা ছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, মিয়া আলাউদ্দীন, আমির হামজা, আবু হোসেন প্রমুখ।

Pin It