অবশেষে মুখ খুললেন আদভানি

56e52fdbf7bdd7820bdf5e0843c68f32-5ca625600608e

অবশেষে মুখ খুললেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রবীণ নেতা এল কে আদভানি। এবারের নির্বাচনে আদভানিকে ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী কমিটি। এরপর থেকেই একেবারে নিশ্চুপ ছিলেন আদভানি। আজ বৃহস্পতিবার তিনি নীরবতা ভেঙে দল নিয়ে মুখ খুলেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, আজ একটি ব্লগে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন এলকে আদভানি। তিনি বলেছেন, ‘দেশ সবার আগে, তারপর দল, সবার শেষে ব্যক্তি।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রের সুরক্ষা ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য—দুইই চর্চা করতে হবে, দলের মধ্যে এবং বৃহত্তর জাতীয় পরিসরে। এটিই হবে বিজেপির গর্বের বিষয়। ভারতের গণতন্ত্রের মূল সৌন্দর্য হলো এটি বৈচিত্র্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বিজেপি কোনো দিন রাজনৈতিকভাবে ভিন্নমতাবলম্বীদের “শত্রু” হিসেবে গণ্য করে না, শুধুই প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে।’

আদভানি বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে গান্ধীনগর থেকে নির্বাচন করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু দল তাঁকে সেই আসনে মনোনয়ন দেয়নি। গান্ধীনগরে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহকে। অথচ ওই আসন থেকে ছয়বার জয়ী হয়েছেন আদভানি।

আজকের ব্লগে বিজেপিকে আগের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এল কে আদভানি। তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় জাতীয়তাবাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, আমরা কখনোই রাজনৈতিকভাবে ভিন্নমতাবলম্বীদের দেশবিরোধী বলে মনে করি না। ব্যক্তি থেকে রাজনৈতিক ক্ষেত্র পর্যন্ত, প্রতিটি নাগরিকের বিচার-বিবেচনার স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে আমাদের দল সংকল্পবদ্ধ।’ আদভানি আরও বলেছেন, বিজেপি সব সময়ই সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

এদিকে এলকে আদভানির বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক টুইট বার্তায় মোদি লিখেছেন, প্রবীণ নেতা আদভানি ‘নিখুঁতভাবে’ দলের লক্ষ্যের বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন। টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, “বিজেপির প্রকৃত পরিচয় নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আদভানি। বিশেষ করে নির্দেশনামূলক সেই মন্ত্র-‘দেশ সবার আগে, তারপর দল, সবার শেষে ব্যক্তি।’ এলকে আদভানির মতো মহান ব্যক্তিরা বিজেপিকে শক্তিশালী করেছেন এবং এমন একটি দলের অংশ হতে পেরে গর্ববোধ করছি।”

সমালোচকেরা বলছেন, আদভানিকে কৌশলে বিজেপি থেকে সরিয়ে দিতে চাইছে মোদি-অমিত শাহ জুটি। এ কারণেই এবারের লোকসভা নির্বাচনে গান্ধীনগরে তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি। এর মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদি দলে নিজের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন বলেও কথা রটেছে।

Pin It