বাগেরহাটের মোংলায় কালবৈশাখী ঝড়ে সারবাহী একটি কার্গো ও একটি লঞ্চ ডুবে গেছে।
এ সময় নদীতে পড়ে এক ক্রেন অপারেটর নিখোঁজ হয়েছেন বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পশুর নদীর হারবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার নুরুল হুদা জানিয়েছেন।
সন্ধ্যায় রাজধানীসহ দেশের বিভন্ন স্থানে ঝড় বয়ে যায়। রাজধানীতে ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার বেগে এক মিনিট ঝড় হয়।
জামালপুরে ঝড়ের সময় অটোরিকশায় গাছ পড়ে এক নারী যাত্রী নিহত হয়েছেন।
নুরুল হুদা বলেন, গত ৫ এপ্রিল পানামা পতাকাবাহী ‘এস্কোপস’ নামে একটি জাহাজ প্রায় সাড়ে আঠারো মেট্রিক টন টিএসপি সার নিয়ে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকার ৫ নম্বর জেটিতে অবস্থান নেয়।
তিনি আরও জানান, সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে ওই জাহাজ থেকে সার খালাসের সময় কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে ‘এমভি হারদা’ নামে একটি কার্গো ও শ্রমিক পরিবহনকারী এম এল আখতার নামে অপর একটি লঞ্চ ডুবে যায়।
এ সময় লঞ্চে থাকা শাহ আলম (৫৫) নামে এক ক্রেন অপারেটর নিখোঁজ হয়েছেন। ডুবে যাওয়া কার্গোতে কী পরিমাণ সার খালাস করা হয়েছিল তা তিনি জানাতে পারেননি।
মেসার্স খুলনা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান পানামা পতাকাবাহী জাহাজ ‘এস্কোপস’ থেকে সার খালাসের কাজ পায় বলে জানান নুরুল হুদা।
মেসার্স খুলনা ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক মাসুদ কবির রাত ১১টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় নোঙর করা পানামা পতাকাবাহী সার বোঝাই জাহাজে সার খালাস করতে ৩০/৩৫ জন শ্রমিক এম এল আখতার নামের একটি লঞ্চ যায়।
সেখানে কাজ শেষ করে খুলনার দিকে রওনা হওয়ার কিছু পরে আকষ্মিক কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে লঞ্চটি কাত হয়ে নদীতে ডুবে যায়। সবাই সাঁতরে কূলে উঠতে পারলেও লঞ্চের ক্রেন অপারেটর শাহ আলম নিখোঁজ রয়েছেন বলে তিনি জানান।